মৃত্যুর সময় জান্নাতের সুসংবাদ পাবেন যারা
মৃত্যু অনিবার্য। প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যেখানেই তোমরা থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই। এমনকি যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গেও অবস্থান কর।’-( সুরা নিসা, আয়াত, ৭৮)
আরেক আয়াতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং কেয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে ব্যক্তি সফলকাম হবে। আর পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়।’-( সুরা আল ইমরান, ১৮৫)
বিজ্ঞাপন
আয়াতে বুঝানো হয়েছে, পৃথিবীর সবাই সফলতা চায়। প্রত্যেকের সফলতার মাপকাঠি নির্ধারণের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। তবে আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতে মানুষের প্রকৃত সফলতা নির্ধারণ করে বলছেন, যাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সেই সফলকাম।
জান্নাত লাভের জন্য আল্লাহ তায়ালার ওপর ঈমান ও অবিচলতার কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে-
‘যারা বলে, ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ’, অতঃপর (ইমানের ওপর) অবিচলিত থাকে (মৃত্যুর সময়), তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়ে বলতে থাকে, ‘তোমরা ভীত হয়ো না, চিন্তিত হয়ো না। এবং তোমাদের যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার জন্য আনন্দিত হও।’ -(সুরা হা-মিম সিজদা, আয়াত, ৩০)
অর্থাৎ যারা বিশুদ্ধচিত্তে কেবল এক আল্লাহরই ইবাদত ও আনুগত্য করে তাদের মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা চিরস্থায়ী জান্নাতের সুসংবাদ দেন।
এক হাদিসে হজরত মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) বলেন, একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের বলেন, যার সর্বশেষ বাক্য হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -(আবু দাউদ, হাদিস : ৩১১৬)
আরেক হাদিসে হজরত হুজাইফা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে এবং এটাই হবে তার শেষ আমল, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
যে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় একদিন রোজা রাখবে এবং এটাই হবে তার শেষ আমল, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় সদকা করবে এবং এটাই হবে তার শেষ আমল, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসনাদে আহমদ : ৫/৩৯১)
এনটি