মানসিক চাপ কমাতে হজরত ওমর ফারুক রা.-এর উপদেশ
কাজের চাপ বা ব্যক্তিগত সমস্যা অনেক সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে বেড়ে যায় বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক অনুভূতি। রাগ, হতাশা, একাকিত্ব, ভয়- এই সব অনুভূতিগুলো আচ্ছন্ন করে ফেলে মনকে। এমন সময়ে মানুষের উচিত আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করা। নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামের জীবন থেকে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা। এতে সহজেই মিলবে আত্মার প্রশান্তি ও মুক্তি।
হতাশা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হয়ে জীবন উপভোগ করতে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক রা.-এর একটি উপদেশ (টিপস) অনুসরণ করা যেতে পারে। তিনি বলেছেন-
বিজ্ঞাপন
ما أبالي على أيِّ حالٍ أصبحت! على ما أحبُّ، أم على ما أكره؛ ذلك بأنِّي لا أدري الخيرة فيما أحبُّ أم فيما أكره
সকালের শুরুটা পছন্দ অথবা অপছন্দ যেভাবেই হোক না কেন, এতে আমার কোনও ভাবনা— চিন্তা নেই। কারণ, আমি তো জানি না, যা আমি পছন্দ করি এতে আমার জন্য কল্যাণ রয়েছে, নাকি আমি যা অপছন্দ করি, এতে আমার জন্য কল্যাণ রয়েছে। এজন্য আমি সবসময় আল্লাহ তায়ালার ফয়সালার ওপর সন্তুষ্ট।
এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট বলেছেন,
وَعَسَى أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
হতে পারে একটি বিষয় তোমাদের কাছে অপছন্দের, অথচ সেটি তোমাদের জন্য কল্যাণকর। হতে পারে একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দের, অথচ সেটি তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আল্লাহ তায়ালা জানেন, তোমরা জানো না। -(সুরা বাকারা, আয়াত: ২১৬)
প্রতিটি মানুষই তার জীবনের যাবতীয় ঘটনার প্রতি খেয়াল করলে বুঝতে পারবে যে, তার জীবনেই অনেক ঘটনা রয়েছে, যাতে সে কোনও কাজকে অত্যন্ত লাভজনক ও উপকারী মনে করেছিল, কিন্তু পরিণামে তা অত্যন্ত অনিষ্টকর হয়েছে। অথবা কোন বস্তুকে অত্যন্ত ক্ষতিকর মনে করেছিল এবং তা থেকে দূরে সরে ছিল, কিন্তু পরিণামে দেখা গেল, তা অত্যন্ত লাভজনক ও উপকারী ছিল।
বাস্তব জীবনে চলার পথে আমরা কতশত বাঁধা— বিপত্তি, প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হই। এতে অল্পতেই ভেঙ্গে পড়ি, অস্থির হয়ে যাই। সব হতাশা ও প্রতিকূল পরিস্থিতি পাড়ি দেওয়ার জন্য পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে স্পষ্ট দিক নির্দেশনা। সাহাবায়ে কেরামমের বাণীতেও আছে উপাদান। জীবন চলার পথে পাওয়া আঘাতগুলোর শান্ত্বনা খুঁজে পাওয়া যেতে পারে এখান থেকে।
সূত্র: মাওয়ায়েজে সাহাবা
এনটি