দৈনিক পাঁচবার নামাজ আদায় ফরজ করেছেন আল্লাহ তায়ালা। জামাতের সঙ্গে সময় মতো নামাজ পড়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কোরআন ও হাদিসে। মানুষ যে অবস্থায় থাকুক না কেন তাকে নামাজ আদায় করতেই হয়। প্রচণ্ড অসুস্থ হলেও বসে শুয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে। তাই নামাজ না পড়ে উপায় নেই। 

কেউ যদি কোথাও ভ্রমণের কারণে ট্রেনে সফরে থাকে; এমন সময় নামাজের সময় হয়ে গেলে তিনি কিভাবে নামাজ পড়বেন?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফিকাহ শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধিকাংশ ট্রেনেই নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকে। তবে ট্রেন চলন্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া অনেক সময়ই কষ্টকর হয়। ঝাঁকুনির কারণে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। তা ছাড়া নামাজ পড়া অবস্থায় ট্রেন দিক পরিবর্তন করলে কেবলা ঠিক রাখা সম্ভব হয় না। তাই ট্রেনে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় স্মরণ রাখা দরকার।

প্রথমত ফরজ নামাজ যথাসাধ্য দাঁড়িয়ে আদায় করা ফরজ। তাই ট্রেনে সফরকালেও যথাসম্ভব দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া চাই। দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া বেশি কষ্টকর হলে কিংবা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে বসে পড়ার অবকাশ আছে। আর নামাজে কেবলার দিক ঠিক রাখা ফরজ।

তাই ট্রেনে নামাজ শুরু করার আগে কেবলার দিক সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তারপর নামাজ পড়া চাই। নামাজ পড়া অবস্থায় ট্রেন দিক পরিবর্তন করলে নামাজি ব্যক্তি তা বোঝামাত্রই কেবলার দিকে ঘুরে যেতে হবে। কেননা কেবলার দিক পরিবর্তনের কথা জানা সত্ত্বেও নামাজি ব্যক্তি যদি কেবলার দিকে না ঘোরে তা হলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।

তবে শুরুতে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়ানোর পর যদি নামাজ পড়া অবস্থায় ট্রেন কেবলার দিক থেকে ঘুরে যায় এবং নামাজি ব্যক্তি তা জানতে না পারার কারণে সেভাবেই নামাজ পড়ে, তা হলে নামাজ হয়ে যাবে। 

-(মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক : ৪৫৫২; আলমুহিতুল বুরহানি : ২/৪৩০; বাদায়েউস সানায়ে : ১/২৯১; রদ্দুল মুহতার : ২/১০১; ইলাউস সুনান : ৭/২১২)

এনটি