ছবি : সংগৃহীত

অন্যের প্রতি সুধারণা করা ও নিজে খারাপ ধারণা থেকে বেঁচে থাকা— মুমিনের কর্তব্য। এমনকি সমাজে কারও ব্যাপারে খারাপ ধারণা ছড়িয়ে পড়লেও তার প্রতি যথাসম্ভব ভালো ধারণা পোষণ করতে হবে। তবে কারও অপরাধ যদি যথাযথভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে ভিন্ন কথা।

মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘যখন তারা এটা শুনল, তখন মুমিন পুরুষ এবং মুমিন নারীরা আপন লোকদের সম্পর্কে কেন ভালো ধারণা করল না এবং বলল না, এটা তো নির্জলা অপবাদ।’ (সুরা নুর, আয়াত : ১২)

অন্যের মন্দ ধারণা থেকে বেঁচে থাকা
মুমিন অন্যের প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করে না। পাশাপাশি অন্যের মন্দ ধারণা থেকে নিজেকে রক্ষা করে। কখনো কেউ মন্দ ধারণা করতে পারে, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে—  ব্যাখ্যা করে স্পষ্ট করে দেওয়া মুমিনের দায়িত্ব।

উম্মুল ‍মুমিনিন সাফিয়্যা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে—

একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) ইতিকাফে ছিলেন। রাতে আমি তাকে দেখতে এসেছিলাম। এরপর তার সঙ্গে কথা বলে আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালাম। তিনিও আমাকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য দাঁড়ালেন। ওই সময়ে আনসারদের দুই ব্যক্তি আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলো। যখন তারা নবী (সা.)-কে দেখলেন, দ্রুত চলে গেলেন। নবী (সা.) তখন তাদের ডাক দিয়ে বললেন, ‘আরে দাঁড়াও, অসুবিধা নেই। সে আমার স্ত্রী সফিয়্যা বিনতে হুয়াই।’ তারা উভয়ে তখন বলল, সুবহানাল্লাহ হে আল্লাহর রাসুল! (আপনার সম্পর্কে আমরা কখনো ধারণা-অনুমান করতে পারি না।) তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘শয়তান রক্তপ্রবাহের মতো মানুষের ভেতরে বিচরণ করে।

(বুখারি, হাদিস : ২০২৫; মুসলিম, হাদিস : ২১৭৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৭০, ২৪৭১)

যে আমলের মাধ্যমে খারাপ ধারণা থেকে বাঁচবেন
শাহর ইবনে হাওশাব (রহ.) থেকে বর্ণিত, আমি ও আমার মামা আয়েশা (রা.)-এর কাছে উপস্থিত হলাম। মামা বলেন, আমাদের কারো মনের মধ্যে এমন কিছুর উদ্রেক হয়, সে তা ব্যক্ত করলে তার আখিরাত ধ্বংস হয়ে যায়। এবং তা প্রকাশ পেলে- সে জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আয়েশা (রা.) তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলার পর বলেন, এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, তোমাদের কারো অন্তরে তা অনুভব করলে— সে তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে। মুমিন ব্যক্তিই এটা অনুভব করে থাকে।’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ০৪)