ছবি : সংগৃহীত

দোয়া ও প্রার্থনা স্বতন্ত্র্য একটি ইবাদত। হাদিসে দোয়াকে ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। আল্লাহর কাছে দোয়া না করলে, আল্লাহ অপছন্দ করেন। দোয়ার মাধ্যমে সহজেই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। যেকোনো বিপদ ও সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায়। তাই সব বিষয়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার বিকল্প নেই। কারণ, তিনি একমাত্র সাহায্যকারী ও সমাধানদাতা।

হাদিসে দোয়ার মাধ্যমে জান্নাত লাভের অনেক সুসংবাদ রয়েছে। যে সহজ দোয়া পড়লে জান্নাত লাভ করা যায়— সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।

যে দোয়ায় জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়

رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا ، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا ، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا

উচ্চারণ : ‘রাদিতু বিল্লাহি রব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা’।

অর্থ : আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বিন এবং মুহাম্মদ (সা.)-কে রাসুল হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছি।

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন— 

যে ব্যক্তি দোয়াটি পড়বে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।’ হাদিসে আছে, এই কথাটি শোনে আবু সাইদ (রা.) আনন্দে বিস্মিত হয়ে যান।

(আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৯)

অন্য এক হাদিসে মুনাইজির (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি- যে সকালে ‘রাদিতু বিল্লাহি রব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা’ পড়বে— আমি তার হাত ধরে তাকে জান্নাতে পৌঁছে দেবো। (মুজামুল কবির, হাদিস : ৩৫৫/২০; সিলসিলাতুস সহিহা, হাদিস : ২৬৮৬)

অপর বর্ণনায় রয়েছে, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল তিনবার এই দোয়া পড়বে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির নেকি বৃদ্ধির মাধ্যমে তাকে সন্তুষ্ট করবেন। (তিরমিজি : ২/১৭৬)

যে দোয়ায় জান্নাতে বৃক্ষ রোপণ করা হয়
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি : ৩৪৬৪)