ছবি : সংগৃহীত

ইফতার রোজাদারের জন্য বড় আনন্দের। সারাদিন রোজা রেখে ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে যায় রোজাদার। কিন্তু ইফতার সবকিছু দূর করে মনে অপার্থিব আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে আসে। রোজাদার কেমন আনন্দানুভব করে, তা কেবল যারা রোজা রাখে তারাই অনুধাবন করতে পারেন।

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি আনন্দ হচ্ছে যখন সে ইফতার করে। আরেকটি হচ্ছে যখন সে প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৬)

কিন্তু কথা হলো- রোজাদার কখন ইফতার করবে? এই বিষয়টি অনেক রোজাদার জানেন না। মূূূলত সূর্য ডোবার সাথে-সাথে রোজাদার ইফতার করবেন । আজানের জন্য অপেক্ষা করবেন না। নেটে Sunset Today in my location (আমার অবস্থানে সূর্যাস্ত) লিখলেই আজকের সূর্যাস্তের সময় পেয়ে যাবেন। কিংবা আজকের সংবাদপত্রেও দেখতে পারেন সূর্যাস্তের সময়।

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেছেন, সূর্য যখনই অস্ত যাবে, সায়েম (সিয়াম পালনকারী) তখনই ইফতার করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ২৯৫৪; মিশকাত, হাদিস : ১৯৮৫)

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে যে, ‘তিনটি কাজ নবুয়তের আদর্শের অন্তর্ভুক্ত; জলদি ইফতার করা, দেরি করে (শেষ সময়ে) সাহরি খাওয়া এবং নামাজে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখা।’ (তাবারানি, মু’জাম, মাজমাউয যাওয়ায়েদ : ২/১০৫; সহিহুল জামেইস সাগির, আলবানি; হাদিস : ৩০৩৮)

আরেকটি হাদিসে প্রিয়নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘ততদিন মানুষ কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যতদিন মানুষ দ্রুত ইফতার করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯৫৭; মুসলিম, হাদিস : ২৬০৮; আহমাদ, হাদিস : ২২৮২৮)

রাসুল (সা.) বলেন, ‘দ্বীন চিরদিন বিজয়ী থাকবে, যতদিন লোকেরা ইফতার তাড়াতাড়ি করবে। কারণ, ইহুদি-খ্রিস্টানরা ইফতার দেরিতে করে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৩; মিশকাত, হাদিস : ১৮৯৮)

অতএব, ইফতার করবেন সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে। আল্লাহ তাআলা আমাদের যথাযথভাবে রোজা রেখে ইফতার করার তাওফিক দান করুন।