রমজানে কোরআন খতম বেশি করার সহজ নিয়ম
পবিত্র রমজান মাসে মানবজাতির জন্য হেদায়েতের আলোকবর্তিকা হিসেবে পবিত্র কোরআনুল কারিম অবতীর্ণ করা হয়েছে। এ মাস শুধু সিয়াম পালন ও তারাবির নামাজ আদায়ের মাস নয়। বরং রমজান মাসে আমরা ইচ্ছে করলে প্রচুর নেক আমল করতে পারি।
এসব নেক আমলের অন্যতম একটি আমল হলো পবিত্র কোরআনে কারিম অর্থসহ বুঝে বুঝে খতম করা ও কিংবা তেলাওয়াত করা। তাই যারা চলতি রমজানে কোরআন খতম কিংবা কোরআন তেলাওয়াত করতে চান, তারা প্রতিদিন কিভাবে এবং কতটুকু করে পড়লে এ মাসে কোরআন পাঠ শেষ করতে পারবেন, সে বিষয়ে একটি সুন্দর কৌশল ও পরামর্শ হলো—
বিজ্ঞাপন
প্রতিদিন ৪ পৃষ্ঠা করে প্রত্যেক নামাজের পর কোরআন তেলাওয়াত করুন। প্রত্যেক ৫ ওয়াক্ত নামাজের শেষে ৪ পৃষ্ঠা করে তেলাওয়াত করুন, ফলে দৈনিক আপনার তেলাওয়াত হবে ২০ পৃষ্ঠা অর্থাৎ এক পারা। এতে খুব বেশি সময় খরচ হবে না। এভাবে দিনে এক পারা করে তেলাওয়াত করলে পুরো রমজানে ৩০ পারা কোরআন শরিফ তেলাওয়াত খুব সহজেই হয়ে যাবে।
এছাড়া প্রতি নামাজের সময় ৮ পৃষ্ঠা করে পড়লে ৩০ দিনে ২ খতম হবে। ১৬ পৃষ্ঠা করে পড়লে ৩০ দিনে ৪ খতম এবং ২০ পৃষ্ঠা পড়লে ৩০ দিনে ৫ খতম হবে।
কোরআন শরিফ না বুঝে পড়লে প্রতি হরফে কমপক্ষে ১০ নেকি হয়। পড়তে না জানলে কোরআন শরিফ খুলে আল্লাহর পবিত্র কালামের পাতা ও লেখার দিকে মহব্বতের সাথে তাকিয়ে থাকলেও সওয়াব পাওয়া যায়। বুঝে পড়লে আরও বেশি নেকি হয়। এছাড়াও রমজান উপলক্ষে নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। নিষ্ঠা ও ভালোবাসার কারণে আল্লাহ তাআলা ৭০০ থেকে অগণিত গুণ কিংবা বেহিসাব বৃদ্ধি করে থাকেন।
আরও পড়ুন : মৃত্যুর ৪০ দিন পর কি কোরআন খতম করতে হয়?
মহান ইমাম আবু হানিফা নোমান ইবনে সাবিত (রহ.) রমজানের দিনে ১ রাতে ১ খতম হিসাবে একমাসে মোট ৬০ খতম করতেন বলে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। ইমাম মুহাম্মদ ইবনে তাইমিয়া (রহ.) জেলখানায় ৮০ তম খতমের সময় কোরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় সেখানেই শাহাদত বরণ করেন।
আসুন, আমরা হাফেজ আলেমগণের মতো পাঁচ-দশ বা দুই-চার খতম কিংবা কমপক্ষে ১টি খতম হলেও করার নিয়ত করি। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন।
আরও পড়ুন : সবচেয়ে বড় কোরআন কমপ্লেক্সে কী আছে?
মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী।। প্রধান শায়েখ, আলামি খানাকাহে রহমানী, ঢাকা।