২ বছর পর মক্কা-মদিনায় ইতিকাফের সুযোগ
রমজান মাস প্রায় এসে গেছে। প্রতি বছর রমজানে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি শেষ দশ দিন হাজার হাজার মানুষ ইতিকাফ করেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর পর ইতিকাফ-ব্যবস্থা স্থগিত ছিল। এবার রমজানের শেষ ১০দিন মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ ও মদিনার মসজিদে নববিতে ইতিকাফের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) সৌদি গেজেটে প্রকাশিত খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা পালন করে ইতিকাফের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, নির্দিষ্ট শর্ত ও মানদণ্ড পূরণের ভিত্তিতে ইতিকাফ রেজিস্ট্রেশন ও অনুমোদন কার্যক্রম শুরু হবে। জেনারেল প্রেসিডেন্সির সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে এবিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রসঙ্গত ২০২০ সাল থেকে বৈশ্বিক করোনা মহামারি সংক্রমণরোধে দুই বছর যাবত মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে সবার জন্য ইতিকাফের অনুমোদন স্থগিত ছিল। এর আগে রমজানের শেষ ১০ দিনে এ দুই মসজিদে লক্ষাধিক মুসল্লি ইতিকাফ করতেন। তখন ইতিকাফের মুসল্লিদের জন্য বিশেষ তাক, লকার, বিছানা, বালিশ ও ইহরামের কাপড়সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা ছিল।
চলতি মাসের ৫ মার্চ সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধানসহ করোনাবিধি শিথিল করে সৌদি আরব। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাকালের দীর্ঘ ৩০ মাস পর সাত বছর বা এর বেশি বয়সী শিশুদের মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্বসহ সব ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরাসহ করোনা বিষয়ক বিধি-নিষেধ শিথিল করেছিল সৌদি সরকার।
২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সৌদি আরব। তখন ওমরাহ পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর জরুরি অবস্থা জারি করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সীমিত পরিসরে ওমরাহ ও হজ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।