বিয়ের পর থেকেই স্বামীর ওপর স্ত্রীর জন্য বেশি অধিকার সাব্যস্ত হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্ত্রীর ব্যয়ভার গ্রহণ করা। ইসলামি শরিয়তের বিধান মতে স্বামীকে স্ত্রীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিতে হবে।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন— 

সন্তানের পিতার ওপর সন্তানের মায়ের জন্য অন্ন-বস্ত্রের উত্তম পন্থায় ব্যবস্থা করা একান্ত দায়িত্ব।

(সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৩)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজেদের ঘরে বাসস্থানের ব্যবস্থা করো।’ (সুরা তালাক, আয়াত : ৬)

স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিস শরিফে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। পুরুষদের নির্দেশ দিয়ে এক হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘তুমি যখন খাবে, তাকেও খাওয়াবে এবং তুমি যখন পরবে, তাকেও পরাবে। চেহারায় কখনো প্রহার করবে না, অসদাচরণ করবে না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২১৪২; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৮৫০১)

বিদায় হজের ভাষণেও মহানবী (সা.) স্ত্রীদের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। দীর্ঘ বয়ানের একপর্যায়ে বলেছিলেন, ‘অতএব, স্ত্রীদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো, কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত ও প্রতিশ্রুতির সঙ্গে গ্রহণ করেছ এবং তোমরা আল্লাহর হুকুমেই তাদের লজ্জাস্থানকে হালাল হিসেবে পেয়েছ...।’ (মুসলিম : হাদিস ১২১৮)

ভরণ-পোষণের পরিমাণ কেমন হবে
শরিয়ত স্ত্রীর ভরণ-পোষণের ব্যাপারে নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারিত করে দেয়নি। বরং স্ত্রীকে প্রয়োজন পরিমাণ ভরণ-পোষণ দেওয়া স্বামীর কর্তব্য। এটাই শরিয়তপ্রদত্ত নিয়ম ও নির্দেশনা। আর পরিমাণটি পরিবেশ-পরিস্থিতি, অবস্থা ও স্বামীর সামর্থ্যনির্ভর। (ফাতহুল কাদির : ৩/১৯৪; আল-মুহিতুল বুরহানি : ৩/৫২৯-৫৩০)