প্রতীকী ছবি

কষ্ট-আনন্দ ও সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা ইসলামের সৌন্দর্য। অভাব থাকলেও অন্যকে প্রাধান্য দিতে পারা সফল মুমিনের চরিত্র। এটা ইসলামে সর্বোত্কৃষ্ট আখলাক হিসেবে বিবেচিত ও সবিশেষ গুরুত্ববহ। এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া-আখিরাতে বিপুল সওয়াব দেবেন।

অগ্রাধিকার দেওয়াকে আরবিতে ‘ইসার’ বলে। এর শাব্দিক অর্থ পরার্থপরতা, স্বার্থত্যাগ, নিঃস্বার্থতাও করা হয়। পরিভাষায় ‘ইসার’ বলা হয়। কোনো স্বার্থ রক্ষা বা বিপদ দূরীকরণের ক্ষেত্রে অন্যকে নিজের ওপর প্রাধান্য দেওয়া, যাকে ভ্রাতৃত্বের চূড়ান্ত পর্যায় বলা যায়।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ অন্যকে অগ্রাধিকার দাতা বান্দাদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘(আর এ সম্পদ তাদের জন্যও) যারা মুহাজিরদের আসার আগে থেকেই (মদিনা) নগরীর বাসিন্দা ছিল আর ঈমান গ্রহণ করেছে। তারা তাদের ভালোবাসে, যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে। মুহাজিরদের যা দেওয়া হয়েছে তা পাওয়ার জন্য তারা নিজেদের অন্তরে কোনো কামনা রাখে না, আর নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও তাদের (অর্থাৎ মুহাজিরদের) নিজেদের ওপর অগ্রাধিকার দেয়। বস্তুত যাদের হৃদয়ের সংকীর্ণতা থেকে রক্ষা করা হয়েছে তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর, আয়াত : ০৯)

আরও পড়ুন : সুন্দর কথা বললে সদকার সওয়াব

তাই প্রত্যেক মুমিন বান্দার উচিত, সব সময় অন্যকে প্রাধান্য দেওয়া। অন্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মনমানসিকতা তৈরি করা। বিশেষ করে সংকটময় মুহূর্তে সামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করা। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) বলেছেন, দুজনের খাদ্য তিনজনের জন্য যথেষ্ট এবং তিনজনের খাদ্য চারজনের জন্য যথেষ্ট।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩৯২)

একে অন্যকে প্রাধান্য দেওয়ার সাহাবায়ে কেরামদের হৃদয়ছোঁয়া ও অশ্রুসিক্তকারী ঘটনা রয়েছে। হাদিসের কিতাবগুলো ও ইতিহাসের এবং জীবনীগ্রন্থগুলোতে বিস্তার আলোচনা এসছে। আমরা সেগুলো পড়ে দেখতে পারি, এতে নিজেদের জীবন সুন্দর ও অপার্থিব হবে। 

এছাড়াও আমাদের প্রত্যেকের উচিত, সময় থাকতে অন্যকে প্রাধান্য দেওয়া ও অন্যের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করা। পাশাপাশি ইসলামের অনন্য আখলাক ও চরিত্র-মাধুর্যগুলো অর্জনের চেষ্টা করা।