মালয়েশিয়ার শরিয়া কোর্টের প্রধান বিচারপতি দাতু ড. হাজি মোহাম্মদ নায়িম বিন হাজি মোক্তার বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমি যখন লন্ডনে লেখাপড়া করেছি, সেসময় সেখানে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সিলেটের অধিবাসীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। সে কারণে স্টুডেন্ট ইউনিয়নের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে চলে এসেছি। 

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশটির হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তি ও সেরা শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মালয়েশিয়া (বিএসইউএম)। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।

বিএসইউএম এর সভাপতি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জহুরুল ইসলাম ও এডুকেশন সেক্রেটারি মাঈদুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় সভায় শরিয়া কোর্টের প্রধান বিচারপতি বক্তব্য বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে। এটি একটি স্বাধীন দেশের গর্বের বিষয়। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন তিনি।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনাদের পিতা মাতা বিদেশে পাঠিয়েছেন, শিক্ষা অর্জনের জন্য। আপনাদের শিক্ষা অর্জন করতে হবে। শিক্ষা অর্জন করে দেশ বিদেশে দেশের সম্মান সমুন্নত রাখতে হবে, করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আজকে যারা শিক্ষা অর্জনে পিএইচডি, মাস্টার্স এবং ব্যাচেলর ক্যাটাগরিতে ২০ হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে বাচাই করে যে ১০জন ট্যালেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানান তিনি। এ ছাড়া সুন্দর আয়োজনের জন্য বিএসইউএময়ের সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সকলকেও অভিনন্দন জানান ।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মাহবুব আলম শাহ, ইসলামিক ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আইকল মো. জাহিদুল ইসলাম, আইআইইউএম ওয়ার্ল্ড ডিবেট সেন্টারের সিনিয়র ডিবেট ট্রেইনার, মো. আব্দুল লতিফ, এনএসএস সলিউশন ডিরেক্টর সবুজ হোসাইন, ডাচ-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কো-চেয়ারম্যান লায়ন হারুন-অর-রশিদ, আইআইইউএময়ের পোস্ট ডক্টরেট ফেলো ডক্টর ফাইজুল হক, সাংবাদিক আহমাদুল কবির, অরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মালয়েশিয়া কর্তৃক শিক্ষা অর্জনে পিএইচডি, মাস্টার্স এবং ব্যাচেলর ক্যাটাগরিতে যে ১০ জন ট্যালেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তারা হলেন, পিএইচডি: ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পাহাংয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ বদরুল আলম, ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থী মো. আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থী মাঈদুল ইসলাম। মাস্টার্স : ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থী রাবেয়া আনজুম, মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসাইন,  ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পাহাংয়ের শিক্ষার্থী হাসনাত মোস্তাফা। ব্যাচেলার: ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থী হাসান আল-মামুন, ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থী সুরঞ্জিত বাড়ুয়া, ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থী মো: ইউসুফ বিন ফুরকান ও সানওয়ে ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুন।  

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন প্রধান অতিথি।