বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কানসাই (জাপান) শাখা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ৫০ বছর ও মহান বিজয় দিবস পালন করেছে।

স্থানীয় সময় রোববার (১৯ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কানসাই আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাহদাত মোহাম্মদ সায়েম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের এবং ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কানসাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, বাংলাদেশ পাক হানাদারদের সঙ্গে ৯ মাস যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে। কষ্টার্জিত এই ইতিহাস পৃথিবীতে বিরল।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে রূপকল্প ও ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য আমরা জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছি। যা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মর্যাদা ও সক্ষমতার স্বাক্ষর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের অর্জনগুলো উপস্থাপন করে তিনি জাতির পিতার সমৃদ্ধ সুখী-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রবাসীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, আমাদের সবার উচিত দেশের ইতিহাস জানা। বর্তমান তরুণ ও নতুন প্রজন্মের অনেকেই আমাদের গৌরবময় সোনালি ইতিহাস ভালো করে জানেন না। প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চির সমুন্নত রাখা ও নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে প্রবাসী বসবাসবাসরত ভাই বোনদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহান ত্যাগ ও আত্মদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের এই বীরগাঁথা ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে সভাপতি আবু সাদাত মো. সায়েম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বের জন্য মডেল। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তিনি সবাইকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এবং জাপানে বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল ইসলাম দিদার ও ওসাকা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত রহমান রিয়াদ, তাদের বক্তব্যে মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়ের আনন্দ এই প্রবাসে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পর্যায়ক্রমে কানসাই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আর এ সরকার রবিন, সহ-দফতর সম্পাদক সাইফুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব বাঁধন ও কানসাই যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান আকাশ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কানসাই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শাখার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বিচারপতি মমতাজ ঊদ্দিন আহমাদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মোসফাকু রহমান সবুজ, আমিনুল ইসলাম রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ-উল-হাসান, ড. লুৎফর রহমান মাসুম, ড. মো. আশরাফুজজামান রোমেল, জাপান আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসাইন, ড.মারুফ হক খান ড. বজলুল রশীদ হিরা, সহ সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ, স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মাহফুজুল করিম, কানসাই যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল আজাদ রাজু, জাপান ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল ইসলাম দিদার ও ওসাকা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত হোসেন সাকিব।

এমএইচএস