নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সাড়ে ৯টায় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নুরুল ইসলাম মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করেন। 

এরপর মিশনের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিশেষ মোনাজাতের পর ৫০ বছরের বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের যাত্রার একটি প্রামাণ্য চিত্রও প্রদর্শিত হয়।

আলোচনায় সভায় বক্তারা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসব্যাপী যুদ্ধে জাতির ঐতিহাসিক বিজয়ের দিনে লাখো শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করেন।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নুরুল ইসলাম বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও  দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। 

তিনি বলেন, বিজয় অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা মহান মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ শিশু-কিশোর রয়েছে। আমাদের মুক্তি শুধু রাজনৈতিক মুক্তির জন্য নয়, এটা ছিল সর্বাত্মক স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম।

তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, সুশিক্ষিত ও উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে আমরা দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।

হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ দিন বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বিজয় দিবসের বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে শাবান মাহমুদ, ড. এ কে এম আতিকুল হক, মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন, ও মো. আব্দুল ওয়াদুদ আকন্দ। সেলিম মো. জাহাঙ্গীর আলোচনায় অংশ নেন।

ওএফ