ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। বুধবার দেশটিতে ২৬ হাজার ৯৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ দিন দেশটিতে ৫৪ জন মারা যায়। যা দেশটিতে চলতি বছরের জুলাইয়ে ২৬ হাজার ৪৮৫ জন শনাক্তের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। 

মঙ্গলবার দেশটিতে করোনায় ২৩ হাজার ৮৮৪ জন শনাক্ত ও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রদেশিক হিসেবে করোনার হটস্পট খ্যাত ঘাটিংয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু অন্য আট প্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর পুমালাঙ্গা প্রদেশে সবচেয়ে কম।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার শনাক্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৯৭৬ জন ও ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে শনাক্ত ৩২ লাখ ৩১ হাজার ৩১ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯০ হাজার ২২৬ জন। দেশটিতে করোনা সংক্রমণের পর সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩ শতাংশ।

এদিকে, দেশটিতে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে সক্রামণ বেড়ে চলেও অমিক্রন আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর গ্লেন্ডা গ্রে।

দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাষ্ট্রীয় নিয়মিত কার্যক্রম ছেড়ে চিকিৎসাদের নজরদারিতে আছেন। তার বর্তমান অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ।

রাষ্ট্রপতির অবর্তমানে উপ-রাষ্ট্রপতি ডেভিড মাবুজা বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারনে লকডাউন ও বিধিনিষেধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দেশটির জাতীয় করোনভাইরাস কমান্ড কাউন্সিলের (এনসিসিসি) সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, পাল্লা দিয়ে সংক্রামণ বেড়ে চললেও বড়দিনের উৎসব সামনে রেখে দেশটির ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কঠোর লকডাউন বিধিনিষেধ আরোপ না করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা কতৃপক্ষ করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকা কার্যক্রম চালাচ্ছে। দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৩৮ ভাগ মানুষকে এখন সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ। আফ্রিকা মহাদেশে করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা।

ওএফ