নিজের হোস্টেল রুমে ৩ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত এক বাংলাদেশি ছাত্র ওই রায় থেকে রেহাই পেয়েছেন। 

মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শাস্তি থেকে বাঁচলেন তিনি। মালয়েশিয়ার বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রের নাম মোহাম্মদ হাবিবুল হাসান। 

গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারকদের তিন সদস্যের একটি প্যানেল বলেন, হাবিবুল হাসানের আপিলের পেছনে যুক্তি রয়েছে, অন্যদিকে প্রসিকিউশন অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। প্যানেলের প্রধান বিচারপতি বিচারক দাতুন হানিপাহ ফকিরুল্লাহ বলেন, যদিও হাবিবুলের হোস্টেল থেকে গাঁজা পাওয়া যায়, কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলেছেন, ওই গাঁজা জাওয়াদ নামে অন্য এক ছাত্রের।  

জাওয়াদ ইউনিভার্সিটির বাইরে থাকতেন এবং গাঁজাগুলো জব্দ হওয়ার পরদিনই আত্মহত্যা করেন তিনি।  

তবে আগে হাবিবুলের এই দাবি আমলে নেননি বিচারকরা। বিচারক হানিপাহ বলছেন, হাবিবুলের এই দাবি আমলে না নেওয়া ঠিক হয়নি। 

হোস্টেল সুপারের কাছে হাবিবুল আদৌ কখনও দোষ স্বীকার করেছিলেন কি না, তা নিয়ে আগের বিচারকরা সঠিক প্রশ্ন করেননি বলেও মনে করেন বিচারপতি হানিপাহ। ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর হাবিবুলের হোস্টেল রুম থেকে ওই গাঁজা জব্দ করা হয়েছিল।  এরপর তার বিরুদ্ধে গাঁজা পাচারের অভিযোগে মামলা হয় ও তার বিচার শুরু হয়। 

সূত্র : মালয় মেইল। 

এনএফ