ইউরোপের অন্যতম অভিবাসীবান্ধব দেশ পর্তুগালে প্রতিবছরই বাংলাদেশিদের আনাগোনা বাড়ছে। তবে করোনা মহামারির কারণে কিছু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও ২০২০ সালে ২ হাজার ১৫৪ জন বাংলাদেশি পর্তুগালে বসবাস করার জন্য প্রথম রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছেন। তার আগের বছর অর্থাৎ, ২০১৯ সালে দেশটিতে নিয়মিত হতে পেরেছিলেন ২ হাজার ৩৯৬ জন বাংলাদেশি। সেই হিসাবে গত বছর পর্তুগালে নিয়মিত হওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা কমেছে।

করোনায় বিশ্বের অন্য দেশের মতো পর্তুগিজ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম স্থবির হয়ে ছিল। সেই সঙ্গে কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ২০২০ সালে প্রথম রেসিডেন্ট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ প্রহর গুনতে হয়েছে। অবশ্য পরে নতুন আসা অভিবাসীদের আবেদন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যার কারণে প্রক্রিয়াটি এখন অনেকটাই স্বচ্ছতা লাভ করেছে।

আব্দুল সত্তার নামে এক বাংলাদেশি জানান, ২০১৯ সালের শুরুতে সস্ত্রীক সুইডেনে আসি। কিন্তু সেখানে আমার থাকার সুযোগ না থাকায় ইউরোপের শেষ আশ্রয় খ্যাত পর্তুগালে চলে আসি। অনেকে অপেক্ষায় থাকলেও ভাগ্যক্রমে আমি ২০২০ সালের মধ্যে প্রথম রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছি। তবে আমার স্ত্রীর আবেদনের জন্য জটিলতায় পড়ি। কেননা, করোনার কারণে সশরীরে সাক্ষাৎ বন্ধ ছিল। সবশেষ চলতি বছরের আগস্ট মাসে আমার স্ত্রীর রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছি।

পর্তুগালের অভিবাসীদের মধ্যে তাদের উপনিবেশিক দেশগুলোর অভিবাসীদের আধিক্য সবচেয়ে বেশি। যেমন- ২০২০ সালে তাদের অন্যতম প্রধান উপনিবেশিক দেশ ব্রাজিলের ৪২ হাজার ২৪৫ জন নাগরিক বসবাসের অনুমতি পেয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও নেপালের যথাক্রমে ৭ হাজার ১৭২ এবং ৩ হাজার ৮৮০ জন নাগরিক একই সময়ে দেশটিতে বসবাস করার অনুমতি হিসেবে প্রথম রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছে।

পর্তুগিজ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের (এসইএফ) হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সাল পর্যন্ত পর্তুগালে ৯ হাজার ৯১৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক, যারা রেসিডেন্ট কার্ড নিয়ে দেশটিতে বসবাস করছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৬৫১ জন ও নারী ২ হাজার ২৬৫ জন।

এসএসএইচ