ইউরোপের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পর্তুগালেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। দেশটিতে চলতি মাসের শুরুতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৫০০'র নিচে থাকলেও সর্বশেষ বুধবার (১৭ নভেম্বর) একদিনেই আক্রান্ত ২ হাজার ৫২৭ জন। এ নিয়ে নতুন করে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশেষজ্ঞরা বিশেষ নজর রাখছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) পর্তুগিজ প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। এতে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

পর্তুগিজ প্রেসিডেন্ট মারসেলো রেবেলো দ্যা সুজা আবারও জরুরি অবস্থা প্রণয়নের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, পর্তুগাল জরুরি অবস্থা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থেকে অনেক দূরে। ইতোপূর্বে যে সময় জরুরি অবস্থা জারি ও ক্রমান্বয়ে নবায়ন করা হয়েছিল তার থেকে আমরা খুবই ভালো অবস্থানে আছি।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা আগামী বড়দিনকে কেন্দ্র করে খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে গৃহীত কিছু পদক্ষেপের অনুযায়ী কাজ করতে বলছেন। পর্তুগিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ এবং লিসবন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কারমো গোমেজ বলেছেন, করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এতটাই মারাত্মক সংক্রমণ বিস্তার করে যা দুটি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

প্রথমত, বর্তমান টিকা কার্যক্রমকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি গতিশীল করে নাগরিকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি নিশ্ছিদ্র বলয় তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমানে স্বাভাবিক যে বিষয়গুলো রয়েছে যেমন বদ্ধ স্থানে মাস্ক পরিধান করা, দূরত্ব বজায় রাখা, নির্দিষ্ট সময় পরপর হাত ও হাতের সংস্পর্শে আসে এ ধরনের স্থাপনা জীবাণু মুক্তকরণ ইত্যাদি পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে পালন করলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

যদিও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন নেদারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ইতালি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও স্পেনসহ প্রায় সব দেশেই সংক্রমণের হার অধিক, তাই কিছু কিছু দেশে সাপ্তাহিক ও আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে পর্তুগালে কড়াকড়ি লকডাউন না আসলেও বর্তমান বিধিনিষেধের কিছুটা পরিবর্তন হবে।

ওএফ