হতাশা কাটছে না ছুটিতে থাকা মালয়েশিয়া প্রবাসীদের। সহসা ফিরতে পারছেন না কর্মস্থলে। করোনাকালে যেসব কর্মী বৈধভাবে নিজ নিজ দেশে গিয়েছিলেন, তাদের কেউ কেউ মালয়েশিয়া সরকারের দেওয়া করোনা বিধিনিষেধ ও শর্ত শিথিলতার মধ্যে ফিরতে পেরেছেন। তবে অনেকেই মালয়েশিয়ায় কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না। তাদের আশা ছিল, শিথিলতার মাধ্যমে দেশটিতে ফিরে কাজে যোগ দিতে পারবেন।

আটকে পড়া কর্মীদের যাদের বৈধ ভিসা ও পারমিট রয়েছে, তারা মাই এন্ট্রি পাসের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন। কিন্তু যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের মাই ট্রাভেল পাস অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে কখন তারা মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারবেন তা নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ও নিয়োগকর্তার ওপর। কারণ নিয়োগকর্তা যদি ইমিগ্রেশন থেকে অ্যাপ্রভাল না নিয়ে দেন, তবে তাদের ফেরা কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়ায় দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে ৩১ ডিসেম্বর। এ প্রক্রিয়ায় অবৈধ কর্মীদের বৈধ করা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে মালিকদের। এ অবস্থায় ছুটিতে থাকা কর্মীদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কতটুকু কাজ করবেন তারা? এছাড়া বৈধ করার পাশাপাশি চলছে নতুন শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার প্রক্রিয়া। এমনটিই বলছেন অনেকে।

এদিকে যাদের বৈধ ভিসা ও পারমিট রয়েছে, তারা মাই এন্ট্রি পাসের মাধ্যমে ১৫ নভেম্বর থেকে সাত দিনের হোটেল ভাড়া বাবদ ১ হাজার ৫০ রিঙ্গিত, করোনার পিসিআর টেস্টের জন্য পাঁচশ রিঙ্গিত এবং বিমান ভাড়া মিটিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ১ নভেম্বর থেকে ইমিগ্রেশনের পূর্বানুমতি বা মাই ট্রাভেল পাস (এমটিপি) ছাড়াই মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন অভিবাসীরা।

এতে বলা হয়েছিল, এক্ষেত্রে যাদের ভিসার মেয়াদ আছে তারা কিছু শর্ত মেনে অনুমতি ছাড়াই দেশটিতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন। আর যাদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, তারা মাই ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে আবেদন করে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল, বিদেশিরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে চাইলে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র, করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। এরপর বিমানবন্দরে স্থাপিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সাত দিন অবস্থান করতে হবে। এ সাতদিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের খরচ অভিবাসী কর্মী অথবা তার নিয়োগকর্তাকে বহন করতে হবে। এদিকে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দেশটির সরকার পর্যায়ক্রমে বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করেছে এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে পুরোপুরি  সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এসএসএইচ