মহামারির কারণে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও সফলতার সঙ্গে পর্দা নামল ওয়েব সামিট ২০২১ এর। স্থানীয় সময় গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিশ্বের এই শীর্ষ প্রযুক্তি সম্মেলনটি শেষ হয় গত ৪ নভেম্বর।

চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনের শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডি সজা, ওয়েব সামিটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও প্যাডি কসগ্ৰাব। সম্মেলনটির ৩৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন প্রায় ২০০টির বেশি সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। এতে আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল, প্রযুক্তি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সব বাধার সমাধান ও করণীয়।

সম্মেলনের বেশিরভাগ আলোচনায় পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি মেটাভার্সের বিষয়টি উঠে আসে। এ প্রযুক্তিকে ঘিরে স্টার্টআপগুলো যাতে সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, সে বিষয়ে খুব বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

এ সময় প্রযুক্তির পাশাপাশি অর্থনীতির সমস্যাগুলো আলোকপাত করতে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনার এলেন ওয়েন ট্রুব, ওবামা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড সিমাস ও যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল লিবেরটিজ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ডেবরা আর্চার।

প্রযুক্তির বিকাশে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টিও আলোচনা থেকে বাদ যায়নি। গণমাধ্যম নিয়ে কথা বলতে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্যের আশির দশকে রয়টার্সের বিখ্যাত সাংবাদিক ও বর্তমানে দি টাইমসের সম্পাদক জন ওইদেরো।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, নিউজ টুডে, সিএনবিসি, ইউরো নিউজসহ অন্যান্য গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ঢাকা পোস্টকে জানান, এ সম্মেলন থেকে নতুন উদ্ভাবনী বিষয়, ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ব্যবসায় সফলতা অর্জনের বিষয়ে অনেক নতুন কিছু জানা গেছে। তারা এখানে অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত।

প্রথমবারের মতো সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আলফা কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জুলিয়া রবার্টস। তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করেছি। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা।

মহামারি সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া সত্ত্বেও ১২০টি দেশ থেকে আসা ৪৫ হাজার অংশগ্রহণকারী এবং ২০২২ সালের অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে এ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। 

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাপলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রেইগ ফেডরিগি, ফেসবুকের (মেটা) ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ এবং অ্যামাজনের (সিটিও) ড. ওয়েরনার ভগেলস।

এমএইচএস