যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’ দিবস পালন করেছে কানাডার অটোয়া বাংলাদেশ হাই কমিশন।

দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্ট্যাটিজের সহযোগিতায় হাই কমিশন অফিস এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার ড. খলিলুর রহমান। তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পড়ে শোনানো হয়। বাণী পাঠের পর শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে একটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন- জিয়াউর রহমান, ড. সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান, প্রফেসর গীতাঞ্জলি বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আক্তারুজ্জামানসহ অনেকেই।

উক্ত অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের শিশু কালের জীবনের ওপর আলোকপাত করা হয়। আলোচকরা শেখ রাসেলের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, শেখ রাসেল ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্কুলে পড়ালেখা করতেন। রাষ্ট্রপতির সন্তান হয়েও আট-দশটি সাধারণ শিশুর মতোই ছিল। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিত।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে হাই কমিশনার ড. খলিলুর রহমান আলোচকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে তিনি বাংলাদেশের যোগ্য নেতা হিসেবে স্থান করে নিতেন। ঘাতকরা রাসেলকে হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।

তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত নেওয়ার অভিপ্রায় ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

শিশু-কিশোরদের একটি বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।

এমএইচএস