কানাডায় ‘বন্ধু’র মতবিনিময়
শিউলি ও কাশফুল ফোটানো ঋতুর রানী শরতের আগমনী বার্তা প্রবাসী বাঙালির জীবনজুড়ে শিহরণ জাগায়। আশ্বিন মাস শেষ হতে না হতেই যেন হেমন্তের মরা কার্তিকের আমেজ। ঋতুর রানী শরতের বিদায়ের সুর। আর হেমন্তের নবান্নের উৎসবের আবাহন।
দূর প্রবাসে বসে প্রবাসী বাঙালিরাও ভুলতে পারে না জীবনের সেই জয়গান আর শরৎ ঋতুর বন্দনা। স্মৃতিতে অম্লান হয়ে ভেসে আসে সেই দিনগুলো। সেই সাথে কানাডিয় সংস্কৃতির ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ বা ধন্যবাদ দেয়ার দিনের ব্যতিক্রমী আমন্ত্রণ আমাদেরও উৎফুল্ল করে।
বিজ্ঞাপন
খারাপ সময় মানুষের জীবনে আসে। জীবনে অর্থনৈতিক সমস্যাও থাকে। রঙিন জীবন কখনো কখনো সাদাকালো হতে পারে। এসব খারাপ সময়ে একজন ভালো বন্ধুর খুবই প্রয়োজন।
তাই ক্যালগিরির প্রবাসী বাঙালিদের সমন্বয়ে ব্যতিক্রমী ‘বন্ধু’ সংগঠন আয়োজন করেছিল ভিন্নধর্মী এক মতবিনিময়ের।
ভিন্নধর্মী আড্ডা আর আলোচনায় উঠে আসে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে সাম্প্রতিক সময়ের নানা বিষয়। শিক্ষণীয় আর সময়োপযোগী আড্ডায় উঠে আসে সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস খেলারাম খেলে যা, রবীন্দ্রনাথের শেষ চিঠি, রক্তকরবী; কাজী নজরুলের নার্গিস, জীবনানন্দের বনলতা সেন- আরো কত কী!
সামাজিক বিধিনিষেধ ও আলবার্টা সরকারের বেঁধে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বন্ধুর আড্ডায় ছিলেন মোহাম্মদ কাদির, আবদুল্লা রফিক, মো. মাহমুদ হাসান, মো. রশিদ রিপন, এ্যনথনি জ্যাকব এবং ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন অন্য বন্ধুরাও।
‘বন্ধু হৃদয়ের আয়না’- এই বিশ্বাস নিয়েই ক্যালগিরির ‘বন্ধু’ সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজ করে যাচ্ছে। শুধু প্রবাস নয়, দেশেও বন্ধুত্বের এই হাত ছড়িয়ে পড়বে- এমনটাই প্রত্যাশা।
এইচকে