দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পর ইতালি আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রোমের ভিত্তোরিও ফুড অব রোমা রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তারিখ ঘোষণা করা হয়।

ইতালি আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জি এম কিবরিয়া বলেন, সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করা হয়। মূল্যবান মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি ও নির্বাচন কমিশনার একসঙ্গে বসে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আগামী ১৪ নভেম্বর ইতালি আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রোমসহ আশপাশের নেতাকর্মীদের সম্মেলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাকে মানতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় একটি সুষ্ঠু সম্মেলন করা আমাদের দায়িত্ব।

কিবরিয়া আরও বলেন, সম্মেলনের সকল অফিশিয়াল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে অর্থাৎ দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বাণীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বাণী সংগ্রহ করা হয়েছে। শিগগিরই ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম লোকমান হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ইতালিতে করোনা পরিস্থিতি খারাপ থাকায় সম্মেলন স্থগিত ছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় আমরা আমাদের দায়িত্বে অবহেলা না করে সম্মেলন করার জন্য দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, মাননীয় নেত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন সম্মেলন করার। এই সম্মেলনের মাধ্যমে তৃনমূল থেকে শুরু করে সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

এর আগে প্রস্তুতি কমিটির সচিব আবু সাঈদ খান সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন। এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় সম্মেলন না হওয়ার কারণে সংগঠনে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল। নেতাকর্মীদের চাঙা করতে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী ও সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সম্মেলনের কোনো বিকল্প নেই।

সংবাদ সম্মেলনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহাতাব হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন, এম এ রব মিন্টু, সরদার লুৎফর রহমান, হান্নান মোল্লাসহ আরও অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন লিটন মোল্লা, জসিম উদ্দিন, আফতাব বেপারী, মজিবর রহমান সিকদার, লিটন হাজারী, শাহ আলম।

এদিকে দফায় দফায় আলোচনা করেও সুবিধামত সম্মেলনের তারিখ না পাওয়ায় প্রস্তুতি কমিটি ও নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বিষোদগার করেন ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল।

অন্যদিকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর পরই পৃথক সংবাদ সম্মেলনে তা প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ইতালি আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৎকালীন সভাপতি মাহাতাব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবালের নেতৃত্বাধীন কমিটি অংশগ্রহণ করেনি।

এসকেডি