সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে বৃহৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ‘দুবাই এক্সপো’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১ অক্টোবর) মেলার জমকালো উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৬ মাসব্যাপী চলবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই মেলা। বিশ্ববাসীর কাছে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে বাংলাদেশ এতে অংশ নিচ্ছে।

এক্সপো ২০২০ দুবাই আয়োজনের মূল থিম ধরা হচ্ছে ‘কানেকটিং মাইন্ডস, ক্রিয়েটিং দ্যা ফিউচার।’ মেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্য, উদ্ভাবন, জাতীয় ব্রান্ড, পর্যটন এবং সংস্কৃতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের এক্সিবিশন টাইটেল নির্ধারিত হয়েছে ‘টেকসই উন্নয়নের দিকে অদম্য বাংলাদেশ।’ 

এদিকে, এক্সপোর মাধ্যমে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অগ্রগতি, সাফল্য ও বাণিজ্য সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের পণ্যের পাশাপাশি কৃষ্টি ঐতিহ্য সম্পর্কিত পণ্য সম্ভার প্রদর্শনী করা হবে। 

এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে থাকবে বিশেষ আয়োজন। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এবং ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন থাকবে।

এক্সপো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের দুই তলা বিশিষ্ট প্যাভিলিয়নের নীচতলায় ৪৩৬ দশমিক ৫৬ বর্গমিটার প্রদর্শনীর জন্য এবং দ্বিতীয় তলায় ৩৮২ দশমিক ৫৭ বর্গমিটার দাফতরিক, সেমিনার ও বিজনেস টু বিজনেস সভার কাজে ব্যবহারের জন্য সংস্থান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক্সপো কর্তৃপক্ষ বরাবর প্যাভিলিয়ন ভাড়া বাবদ ৬ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। প্যাভিলিয়নের সাজ-সজ্জা বাবদ প্রায় ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। 

সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালে ইতালির মিলানে। 

এইচকে