লকডাউন শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে মালয়েশিয়া
লকডাউনের সব নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে মালয়েশিয়া। দেশটি করোনাকালের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার ধকল কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করবে।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে রাজধানীর কুয়ালালামপুর, সেলেঙ্গর ও প্রশাসনিক এলাকা পুত্রাজায়া থেকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেন। শুক্রবার থেকে এই ধাপ-১ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, মহামারি ব্যবস্থাপনার বিশেষ কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য রাজ্যগুলোকে ধাপ-১-এর আওতায় আনা হবে।
ইসমাইল সাবরি আরও বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটি একটি সাধারণ সংক্রমণ এলাকা হিসেবে সেলাঙ্গোর, কুয়ালালামপুর ও পুত্রজায়াকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাভাবিক চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং আর কোনো বাধা থাকবে না। তাদের বাইরে বের হতে পুলিশের কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। যেসব স্থানে রোডব্লক রয়েছে ওই জায়গাগুলো থেকে তা সরিয়ে নেওয়া হবে। ফুল ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন দম্পতিরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন তাদের সন্তানদের দেখাশোনার জন্য।
রাজ্যের খেলাধুলা, বিনোদন কেন্দ্র, বিভিন্ন স্পট ঘুরা যাবে। রেস্তোরাঁ, বাণিজ্য ও বিতরণ খাতের ব্যাপারে ইসমাইল সাবরি বলেন, প্রথম পর্বের অধীনে রাজ্যগুলোতে আগামীকাল থেকে ফুল বিক্রেতাদের দোকান, নার্সারি, বহিরাঙ্গন সরঞ্জামের দোকান এবং হাউজিং গ্যালারিগুলো পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে। সেলুন ও বিউটি সেলুনের কাজ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নমনীয়তা দেওয়া হবে। এ সব সুবিধা তাদেরকেই দেয়া হচ্ছে- যারা দুই ডোজ টিকাগ্রহণ সম্পন্ন করে ১৪ দিন পার করেছেন।
মালয়েশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি এখনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে সরকার ধাপ-১, ধাপ-২ ও ধাপ-৩ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে এগুলো বাস্তবায়ন করে মালয়েশিয়া স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে।
এদিকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৩.৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ এবং ৪৯.৯ শতাংশ মানুষ ২য় ডোজ টিকা সম্পন্ন হয়েছে।
এইচকে