এশিয়া প্যাসিফিকের শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে প্রযুক্তি উদ্ভাবন কেন্দ্রের স্থান পেয়েছে মালয়েশিয়া। কেপিএমজি’র সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, দেশটির কুয়ালালামপুর এশিয়া প্যাসিফিকের নবম শীর্ষ শহর। সিলিকন ভ্যালি/সান ফ্রান্সিস্কোর বাইরে পরবর্তী চার বছরে একটি শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন কেন্দ্র হিসেবে স্থান পেয়েছে শহরটি।

গ্লোবাল টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি সার্ভে ২০২১-এ আট শতাধিক শিল্প নেতারা জড়িত। কেপিএমজি বলেছে, এটি স্থানীয় পর্যায়ে অবকাঠামো, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক, নিয়ন্ত্রক পরিবেশ এবং সম্ভাব্য জাতীয় কর প্রণোদনার মতো একটি ম্যাক্রো স্তরের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।

মালয়েশিয়ার কেপিএমজির প্রযুক্তি, মিডিয়া এবং টেলিযোগাযোগ সেক্টরের প্রধান গাই এডওয়ার্ডস অভিমত দিয়ে বলেছেন, এসব বিস্ময়কর নয়। কারণ বেশ কয়েকটি গবেষণায় ইতোমধ্যে স্বীকৃত এবং চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো মালয়েশিয়াকে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে।

দেশের চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নীতির মতো উদ্যোগের প্রবর্তনের সঙ্গে দেশের প্রযুক্তিগত অবকাঠামোকে এগিয়ে নেওয়ায় মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে গাই এডওয়ার্ডস বলেন, মালয়েশিয়া একটি উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে দেশটির সম্ভাবনার ওপর অবশ্যই বিশ্বব্যাপী আস্থা রয়েছে।

১৭ আগস্ট কেপিএমজির এক বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি প্রেরণাই কেবল প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে মালয়েশিয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

কেপিএমজির জরিপে দেখা গেছে, ৬১ শতাংশ শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কোন শহরগুলো প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠবে তা নিয়ে তাদের মতামত পরিবর্তন করেছে চলমান করোনা মহামারি।

অন্যদিকে এক তৃতীয়াংশ মনে করেন, সিলিকন ভ্যালি উদ্ভাবনী নেতৃত্বের অবস্থান বজায় রাখবে। আবার সমান সংখ্যক মানুষ মনে করেন যে তা হবে না।

এসএসএইচ