পর্তুগালে তিন ধাপে শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ
আগামী আগস্ট থেকে পর্তুগালে তিন ধাপে করোনাকালীন বিধিনিষেধ শিথিল হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলন এই তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের ৭০ শতাংশ নাগরিক এবং অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ নাগরিক টিকার আওতায় চলে আসবে। তাই আমাদের ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
বিজ্ঞাপন
প্রথম ধাপে পহেলা আগস্ট থেকে রাত ১১টার পর জনগণের চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খোলা-বন্ধের সময়সূচী সংক্রান্ত আরোপিত সব সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের পূর্বের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী খুলতে এবং বন্ধ করতে পারবে, তবে সর্বোচ্চ রাত ২টা পর্যন্ত। পানশালা রেস্টুরেন্টের নিয়ম অনুযায়ী খুলতে পারবে। বাধ্যতামূলক টেলিওয়ার্ক শিথিল করা হয়েছে। তাছাড়া ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান বা পাবলিক ইভেন্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
তবে আকাশ এবং নদীপথে ভ্রমণ, হোটেল/মোটেলে অবস্থান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন, শুক্রবার বিকেল ৭টা থেকে এবং সরকারি ছুটির দিনে রেস্টুরেন্টের অভ্যন্তরে প্রবেশ, ব্যায়ামাগার, ক্যাসিনো ইত্যাদি ব্যবহারে এবং ব্যক্তিগত যেকোনো অনুষ্ঠানে ১০ জনের বেশি জনসমাবেশ হলে ইইউ ডিজিটাল সার্টিফিকেট বা করোনা নেগেটিভ টেস্টের রিপোর্ট বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে সেপ্টেম্বর থেকে পাবলিক প্লেসে এবং খোলা জায়গায় মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার শিথিল করা হয়েছে। পাবলিক সার্ভিসগুলোতে পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই সেবা গ্রহণ করা যাবে। অক্টোবর থেকে রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ও বেকারি, সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং সকল ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতার সমপরিমাণ জনসমাগমের উপস্থিতি গ্রহণ করা যাবে। ডিস্কো খুলে দেওয়া হবে তবে ক্লায়েন্টদের ইইউ ডিজিটাল সার্টিফিকেট বা করোনা নেগেটিভ টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে হবে।
পর্তুগালের বর্তমানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি নেই। তবে অধিকাংশ জনগণ টিকার আওতায় চলে আসায় এবং অর্থনীতির চাকা সচল করার স্বার্থে দেশটির সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এমএইচএস