চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মালয়েশিয়ায় লকডাউন চলছে। এ কারণে সীমিতভাবে চলছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের কার্যক্রম। ফলে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিদেশি কর্মীদের ভিসা নবায়নে বিলম্ব হচ্ছে।

তবে এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আশা করা যায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি সমাধান হবে। এই তিন মাসের মধ্যে প্রায় দুই লাখ ভিসা স্টিকার দেওয়া হবে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, লকডাউনের কারণে অফিসে সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তা কাজ করছেন। এতে স্টিকার পেতে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। তবে সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ভিসা নবায়ন প্রক্রিয়াটি দ্রুত করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। গঠিত টাস্কফোর্স আটকে থাকা নবায়ন স্টিকারগুলো ক্লিয়ার করার কাজ শুরু করেছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যেই বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা করছেন পরিচালক।

জানা গেছে, বিলম্বিত হওয়া ভিসা নবায়নের স্টিকারগুলো বেশিরভাগই সেলাঙ্গর, কুয়ালালামপুর এবং নেগরি সেম্বিলান প্রদেশের। এই প্রদেশগুলো এখনও জাতীয় কঠোর লকডাউন পরিকল্পনার প্রথম ধাপের আওতায় রয়েছে।

এসব প্রদেশের নিয়োগ কর্তারা দাবি করছেন, বিদেশি কর্মীদের ভিসা নবায়নের জন্য লেভী অর্থ প্রদান করার পরও ভিসা স্টিকারগুলো পাচ্ছেন না। ইমিগ্রেশন তাদের এবং তাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওয়ার্ক পারমিট শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

খায়রুল দাযাইমি বলেন, ইমিগ্রেশন অফিসগুলোতে কর্মচারীর সংখ্যা এখনও সীমিত। তাই আটকে থাকা স্টিকার প্রদান করতে টাস্কফোর্সের প্রায় তিন মাস সময় প্রয়োজন।

যেসব বিদেশি কর্মীদের কাজের জন্য ভিসা নবায়নের আবেদন করেছেন সেসব নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তবে অভিযানের সময় ভিসা নবায়নের জন্য আবেদন করা লেভী স্লিপ যাচাই বাছাই দলিল হিসেবে গ্রহণ করা হবে এমনটি জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক।

এমএইচএস