করোনাভাইরাসের সংক্রমণের লাগাম যেন টেনে ধরতে পারছে না সিডনি। সে কারণেই আবারও ধরা দিল লকডাউনের জালে। তিন সংখ্যার দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে যেন ছন্দ হারিয়েছে প্রশান্ত পাড়ের শহরটি। জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে গুনে গুনে ঘরবন্দির হিসেব কষছিলেন বাসিন্দারা। একইভাবে যাচ্ছে জুলাই মাস। এবার সঙ্গী হচ্ছে আগস্ট মাসও।  

সিডনিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৭ জন  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণেই লকডাউন ঘোষণা করল মরিসন সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হবে সিডনিবাসীকে। প্রতিবেশী প্যারামাটা, ক্যাম্পবেলটাউন ও জর্জেস রিভারকেও কঠোর বিধিনিষেধের সাক্ষী হতে হচ্ছে।

সিডনির এ চিত্র প্রভাব ফেলেছে অর্থনীতিতে। সেখানে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্বের হার। সম্প্রতি শহরটির উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় আড়াই লাখ নির্মাণ-শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। এর ফলে শহরটিকে প্রায় একশ চল্লিশ কোটি ডলার ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে। 

সরকারের হিসাব অনুযায়ী, লকডাউনে প্রতিদিন সিডনির ১৮০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। তবে সরকার পাশে আছে অর্থ সাহায্য নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক ঘোষণায় জানান, অস্ট্রেলিয় নাগরিক যারা সপ্তাহে বিশ ঘণ্টারও কম কাজ করতে পারছেন, তাদের ৭৫০ ডলার ও যারা চল্লিশ ঘণ্টার কম অর্থাৎ বিশ ঘণ্টার বেশি কাজ করছেন তারা প্রতি সপ্তাহে ৩৭৫ ডলার আর্থিক সহায়তা পাবেন। এ অনুদানের জন্য কেন্দ্র থেকে প্রতি সপ্তাহ ৭৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ প্যাকেজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জব সেভার’। 

এদিকে, কুইন্সল্যান্ড ও ভিক্টোরিয়া রাজ্যেও নতুন সংক্রমণ অব্যাহত আছে। এমতাবস্থায় অস্ট্রেলিয়া সরকার দেশটির সীমান্ত সহসাই খুলছে না। আপাতত ঘর সামলাতেই ব্যস্ত দেশটির নীতি নির্ধারকরা।

আরএইচ