কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ কাউন্টার

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে বিশেষ কাউন্টার খোলা হয়েছে। চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা ইমিগ্রেশনের অনুমতি ছাড়াই নিজ দেশে ফিরতে পারবেন। 

৫ জুলাই থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) তিনটি স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা-ই কাউন্টারগুলো পরিচালিত হচ্ছে। অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমের (এসটিও) মাধ্যমে ফ্লাইটের সময়কালের কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা আগে অনুমতি ছাড়াই অভিবাসীরা কাউন্টার ছাড়তে পারবেন। 

ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযাইমি দাউদ বলেছেন, দীর্ঘকাল অপেক্ষা করার পর অনুমতি ছাড়াই অভিবাসীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৮ জন অভিবাসী বিশেষ কাউন্টার সার্ভিস ব্যবহার করেছেন। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার আওতায় এ পর্যন্ত দুই লাখ ৪৮ হাজার ৮৩ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৮ হাজার ১৯৪ জন দেশে যাওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। শ্রম পুনরুদ্ধার কর্মসূচির আওতায় বৈধতা পেতে এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৯ জন নিবন্ধন করেছেন।

এর আগে অভিবাসীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কর্মসূচিটি পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি ডা. ইসমাইল মোহাম্মদ। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অভিবাসীদের প্রয়োজন স্ব স্ব দূতাবাস কর্তৃক অনুমোদিত বৈধ ভ্রমণের দলিল। স্বদেশের রিটার্ন টিকিট পেতে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা টাচ এন ই-এর মাধ্যমে ৫০০ রিঙ্গিত জমা দিতে হবে। এছাড়াও লাগবে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার স্লিপ।

এদিকে, করোনা সংক্রমণের মধ্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের বিষয়ে সোমবার (৫ জুলাই) নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। জারি করা এ নির্দেশনায় ক্যাটাগরি এ থেকে বি-তে রাখা হয়েছে মালয়েশিয়াকে। বি ক্যাটাগরিতে থাকা দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে যেতে হলে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়াও বেশ কয়েকটি শর্ত মানতে হবে।

করোনার যেকোনো একটি অথবা দুটি ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে তারা বাংলাদেশে যেতে পারবেন। তবে, তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিমানবন্দরে যাওয়ার পর যদি তাদের শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ধরা পড়ে, তাহলে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং পরে সরকার নির্ধারিত স্থানে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

যারা টিকা নেননি, তাদের অবশ্যই ১৪ দিনের সরকার নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর ব্যয়ও তাদেরই বহন করতে হবে। বিমানের বোর্ডিং দেওয়ার আগে হোটেল বুকিং নিশ্চিত করতে হবে।

নতুন এ নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলোর মধ্যে থাকা, খাওয়াসহ একজনের প্রতিদিন সর্বনিম্ন ব্যয় তিন হাজার টাকা। সেই হিসাবে একজন যাত্রীকে (যারা টিকা দেওয়া নেই) গুনতে হবে ৪২ হাজার টাকা এবং সঙ্গে বিমান ভাড়া।

আরএইচ