যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। নতুন রাষ্ট্রদূত শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে যোগদান করেন। দেশটির স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

 ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ জানান, শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ওয়াশিংটনের ডুলাস এয়ারপোর্টে পৌঁছান। এসময়  তাকে অভিনন্দন জানাতে নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়েজুননেসাসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে আরো জানা যায়, বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ না করে বাইডেন সরকারের কাছে পেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গেল বছরের সেপ্টেম্বরে এম শহীদুল ইসলামকে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। প্রায় সাড়ে ছয় বছর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন গত ৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ঢাকার উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন।

রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এর আগে বিমসটেকের মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশনে কাউন্সিলর ও মিনিস্টার বা মিশন উপ-প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৮ সালে বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগ দেন এম শহীদুল ইসলাম। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ সময়ে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনে দ্বিতীয় ও প্রথম সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। এই কূটনীতিক দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

২০১২ সাল থেকে প্যারিস মিশনে থাকার সময় ইউনেস্কোতে স্থায়ী প্রতিনিধিও ছিলেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে রোমানিয়া, আলজেরিয়া, আইভরি কোস্ট ও ক্যামেরুনে বাংলাদেশ মিশনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এর বাইরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা, প্যাসিফিক ও কাউন্টার টেররিজম এবং ইউরোপ অনু বিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

এদিকে নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রবাসীরা মনে করেন, নতুন রাষ্ট্রদূতের দক্ষতায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।

ওএফ