ব্যথানাশক ওপিওড ওষুধের সংকট সৃষ্টি এবং অবৈধভাবে ৬.৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের ‍ওষুধ প্রেসক্রাইব করার অভিযোগে ফেডারেল এজেন্টরা সোমবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের ম্যাকম্ব কাউন্টির একজন চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার ওই চিকিৎসক ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত চার লাখ ৪১ হাজার ডোজের বেশি প্রেসক্রিপশন লিখেছিলেন।

প্রসিকিউটর বলেছেন, শেলবি টাউনশিপের ৭২ বছর বয়সী ড. লরেন্স মার্ক শেরম্যান রাষ্ট্রের ওপিওড সংকটকে বাড়িয়ে তোলার বিনিময়ে নগদ অর্থ নিয়েছেন এবং প্রেসক্রিপশন লিখেছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মার্ক শেরম্যান ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন প্রসিকিউটর। এছাড়া একটি মেডিকেল ক্লিনিকের মালিকসহ আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।

শেরম্যান সম্প্রতি মেট্রো ডেট্রয়েটে ওপিওড সংকট সৃষ্টি করে গ্রেফতার হয়েছেন। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। উডহ্যাভেনের আরেক চিকিৎসক ডা. ফ্র্যাঙ্ক প্যাটিনো পৃথক ১১২ মিলিয়ন ডলার কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রসিকিউটররা বলেছেন, মার্কিন ইতিহাসে অন্যতম বড় স্বাস্থ্যসেবা জালিয়াতি প্রকল্প ছিল এটি।

শেরম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের করা নয় পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ষড়যন্ত্রটি ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল এবং শেরম্যান জড়িতদের জন্য প্রেসক্রিপশন লিখেছিলেন। যেসব ওষুধ পরে মেট্রো ডেট্রয়েটের রাস্তায় বিক্রি হয়েছিল। প্রেসক্রিপশনগুলোতে অক্সিডোডোন, অক্সিমোরফোন এবং পারকোসেটসহ শক্তিশালী ব্যথার ওষুধ ছিল।

অভিযোগপত্র অনুসারে, শেরম্যান ম্যাকম্ব টাউনশিপের বাসিন্দা জেনিস মিনিক বারেল (৩৬) সহ অন্যদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেন। তিনি ট্রানকুইলিটি ওয়েলনেস সেন্টারের মালিক। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ডিয়ারবর্নের ওকম্যান বুলেভার্ডে এবং সেন্ট ক্লেয়ার শোরসের গ্রেটার ম্যাকে ট্রানকুইলিটি অফিস পরিচালনা করে। তাদের মূল উদ্দেশ্য নগদ অর্থ প্রদানের বিনিময়ে অবৈধ ওপিওয়েড প্রেসক্রিপশন লেখানো। শেরম্যান ২০২০ সালের জুনে ট্রানকুইলিটিতে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান।

সোমবার অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- ম্যাকম্ব অফিস পরিচালক অ্যাঞ্জেলো মার্টিজ স্মিথ (৪৪),
ওয়েস্ট ব্লুমফিল্ডের রোগী নিয়োগকারী পিটার বার্লেল, জুনিয়র (৫২), সেন্ট ক্লেয়ার শোরসের কর্মচারী আকেলা বেল (৩৮) এবং ডেট্রয়েটের কর্মচারী কারমেন গিলব্রেথ (৩৬)।

এসএসএইচ