নিউইয়র্কে নির্বাচন : বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ কী?
পৃথিবীর রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক নগরীতে এখন নির্বাচনের বাতাস বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় এ নগরীতে সব দলের অংশগ্রহণে মূল নির্বাচন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ২২ জুন ডেমোক্রেট দলের প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে ১১ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নিউইয়র্কের মোট ৫১টি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের ৬টিতে কাউন্সিলর পদে ১০ জন এবং কাউন্টি জজ পদে একজন বাংলাদেশি এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিজ্ঞাপন
ব্রঙ্কস বরোর কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-১৮ থেকে মোহাম্মদ এন মজুমদার ও মির্জা মামুন রশীদ; কুইন্স বরোর কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-২৪ থেকে মৌমিতা আহমেদ, সাবুল উদ্দিন ও সাইফুর খান হারুন, কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-২৬ থেকে বদরুন খান মিতা ও সুলতান মারুফ; ব্রুকলিন বরোর কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-৩২ থেকে শেখ হেলাল, কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে মিসবা আবদীন এবং কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ থেকে শাহানা হানিফ ও মামনুন হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া কুইন্স কাউন্টি জজ পদে অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিচারক পদে তিনিই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
নির্বাচনে অনেক বাংলাদেশি প্রার্থী বিভিন্ন পদে লড়লেও বাংলাদেশিদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে তেমন উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ব্রঙ্কসবাসী প্রণয় রায় (৪৯) ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বাংলাদেশি ভোটারদের মধ্যে ঐক্য নেই। একটি পদে দুজন বাংলাদেশি ভোটে দাঁড়ালে কাকে তারা ভোট দেবে? তাছাড়া একই পদে আরও অনেকে দেশের প্রার্থী আছেন, যারা বাংলাদেশি প্রার্থীদের চেয়ে জনগণের জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে অনেকটা বেশি কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশী প্রার্থীদের জনগণের জন্য কাজ করে এবং আস্থা অর্জন করে নির্বাচনে নামা উচিত। শুধু অর্থ থাকলে নির্বাচন করতে হবে তা নয়।’
কুইন্সবাসী জেরিন মাহমুদ (২৫) ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘নিউইয়র্কের সিটি নির্বাচনে বাংলাদেশি প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আনন্দের। প্রবাসী বাংলাদেশি হিসেবে নিউইয়র্কের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থান দিন দিন জোরালো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন ভবিষ্যতে আরও বড় পদক্ষেপে জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশি পাওয়া হবে আমাদের জন্য সৌভাগ্যের এবং ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক।’
ব্রুকলিনবাসী সুমাইয়া জাহান (২০) ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এটা জেনে খুব ভালো লাগছে যে, আমাদের অনেক বাংলাদেশি প্রার্থী এই নির্বাচনে লড়ছেন। এটা গর্ব করার মতো একটি বিষয়ও বটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রার্থীর সঙ্গে আমার এখনও কোনো যোগাযোগ হয়নি। কেউ ভোট চাননি।’
আরেক কুইন্সবাসী মোহাম্মদ রোজেল (২৯) ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশি কোন কোন প্রার্থী নির্বাচন করছেন আমি জানি না। কোনো প্রার্থীই আমাদের কাছে আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোট দেওয়ার ইচ্ছে আছে। যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দেবো।’
উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অগ্রিম ভোট প্রদান এবং তা চলবে ২০ জুন পর্যন্ত। মূল ভোট চলবে পুরো জুন মাস জুড়ে। মূল ভোটের দিন ২২ জুন (মঙ্গলবার) কেন্দ্রে কেন্দ্রে বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এইচকে