মিশিগানে মানুষের দেহে হান্টাভাইরাস
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের ওয়াশটেনাউ কাউন্টিতে প্রথমবার মানুষের দেহে সিন নম্ব্রে হান্টাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। একজন নারীর দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (৭ জুন) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। মিশিগান স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগ এবং ওয়াশটেনাউ কাউন্টি স্বাস্থ্য বিভাগ এই আক্রান্তের ঘটনার তদন্ত করছে।
হ্যান্টাভাইরাস হলো- লালা বা ইঁদুরের বর্জ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাস। সাধারণত ইঁদুর এবং হরিণ এটি বহন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সংক্রমিত হওয়ার কোনো নথিভুক্ত ঘটনা নেই।
বিজ্ঞাপন
হান্টাভাইরাস পালমোনারি সিনড্রোমের কারণ হয়ে থাকে। সিন্ড্রোমযুক্ত লোকের মধ্যে জ্বর, পেশী ব্যথা, মাথাব্যথা, কাশি, অস্বাভাবিকভাবে কম রক্তচাপ, শক এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যর্থতার মতো লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। এই রোগে মৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওয়াশটেনাউ কাউন্টির নারীর আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে সম্ভবত একটি বাসা পরিষ্কার করার সময়। ওই বাসাটি স্যাঁতস্যাঁতে এবং সেখানে সক্রিয় ছত্রাকের লক্ষণ রয়েছে। বাসাটিতে অনেকদিন কেউ বসবাস করেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘এইচপিএস হান্টাভাইরাস কিছু স্ট্রেনের কারণে হয় এবং এটি একটি বিরল রোগ। তবে মারাত্মক এবং কখনও কখনও এটি মারাত্মক শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ হিসেবে দেখা দেয়। আক্রান্ত ইঁদুরের প্রস্রাব বা লালা পড়ার এক থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর এই রোগ প্রকাশ পেতে পারে’, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মেডিকেল এক্সিকিউটিভ ডা. জোনেইগ খালদুন এ কথা বলেন।
এসএসএইচ