মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অভিবাসী কর্মীদের জন্য নতুন পদ্ধতিতে বহুস্তর বিশিষ্ট বার্ষিক ভিসা নবায়ন বা লেভী (মাল্টি টায়ার লেভি) প্রদান কার্যক্রম আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে দেশটির সরকার। তবে দেশটিতে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত কয়েক লাখ বিদেশি কর্মী পুরনো পদ্ধতিতে লেভি প্রদান করে ভিসা নবায়ন করতে পারবেন।   

শনিবার (৫ জুন) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান এক বিবৃতিতে বলেন, বিদেশি কর্মীদের ভিসার নবায়নে, লেভী বা নতুন শুল্ক পরিশোধ ব্যবস্থাটি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত নতুন লেভি (শুল্ক) সিস্টেমটি স্থগিত করা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন : বৈধতা নিয়ে সংশয় কাটছে না মালয়েশিয়া প্রবাসীদের 

মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মন্দা প্রতিরোধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

আরও পড়ুন : মালয়েশিয়ায় অবৈধদের গ্রেফতারে লকডাউনেও অভিযান

এছাড়া এই মাল্টি-টায়ার সিস্টেমের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় জনশক্তি ব্যবহারের পথ সুগম করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, করোনার ছোবলে অর্থনৈতিক মন্দায় অসংখ্য নাগরিক কর্ম হারিয়ে বেকার হয়েছেন। তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। চাহিদার ভিত্তিতে পরে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন : কঠোর লকডাউনে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নতুন মাল্টি টায়ার লেভি সিস্টেমের কারণে লেভি বৃদ্ধি পাবে। 

আইন অনুযায়ী লেভি নিয়োগকর্তা পরিশোধ করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন সিস্টেমে লেভির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বিদেশি কর্মী নিয়োগে উৎসাহ কমে যাবে নিয়োগকর্তাদের। 

এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তাতে মালয়েশিয়ান কর্মীদের কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে। ফলে সরকার আগে নিজ দেশের নাগরিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছে মালয়েশিয়া সরকার। 

২০১৬ সালে প্রায় ৬ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী এই রি-হায়ারিং প্রক্রিয়ায় বৈধ হয়েছিলেন। রি-হায়ারিংয়ের মাধ্যমে বৈধ হওয়া কর্মীরা জানান, লেভী বা ভিসা নবায়ন প্রক্রিয়ায় একজন সুস্থ ও ফিট কর্মী ১০ বার অথবা ১০ বছর পর্যন্ত প্রতি বছর লেভী পরিশোধ করে কাজ করার নিয়ম ছিল।

এইচকে