করোনাভাইরাসের প্রকোপ প্রতিরোধে ১২ মে থেকে মালয়েশিয়ায় চলছে লকডাউন। ১ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত আরও কড়া লকডাউন জারি করেছে দেশটির সরকার। এছাড়া দেশটিতে চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ পর্যায়ক্রমে এক বছরের বেশি সময় ধরে চললেও কমছে না মৃত্যু ও সংক্রমণ হার।

তবে এবারের লকডাউনে একেবারেই প্রয়োজনীয় কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যান্যগুলো বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশসহ ২৫ দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মালয়েশিয়া।

লকডাউনের মধ্যে দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ বিদেশি অভিবাসীদের আটকে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পুলিশ ও জেআইএম জাতীয় নিবন্ধকরণ বিভাগ (এনআরডি) একসঙ্গে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অভিযানে গ্রেফতার হওয়াদের জন্য অতিরিক্ত আটককেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন আইনজীবী ফর লিবার্টির (এলএফএল) সমন্বয়কারী জায়েদ মালেক। তিনি বলেছেন, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের টার্গেট করার অজুহাত হিসেবে লকডাউন ব্যবহারের আন্ডারহ্যান্ডেড কৌশল বিদ্যমান স্বাস্থ্য সংকটকে আরও খারাপ করবে।

অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গণ অভিযান পরিচালনা করার পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন জায়েদ মালেক।

এদিকে দুই সপ্তাহের কড়া লকডাউনে (১-১৪ জুন) ৭০ হাজার আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা মোতায়েন থাকবে এবং দেশজুড়ে আট শতাধিক সড়ক অবরোধ স্থাপন করা হবে, যা ইতোমধ্যে ৬০০টি স্থাপন রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন প্রবাসীরা।

রোববার (৩০ মে) দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৯৯৯ জন। এ নিয়ে মালয়েশিয়ায় ভাইরাসটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৫৩৩ জন। আজ মারা গেছেন ৭৯ জন; মোট দুই হাজার ৭২৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৭ জন।

এফআর