‘১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর’
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে, থাকবে। বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য সঠিকভাবে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশকে আমরা সঠিক পন্থায় গড়ে তুলতে পারিনি। বাংলাদেশকে একটি আদর্শ স্বাধীন কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসাবে গঠন করে তুলতে হলে বিজয় দিবসের তাৎপর্য আমাদের অবশ্যই যথার্থভাবে অনুধাবন করতে হবে।
পূর্ব লন্ডনের দর্পণ মিডিয়া সেন্টারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জীবনে নিয়ে আসে সংগ্রামী বিজয়ের স্মৃতি। জীবনকে গৌরবান্বিত তোলার শপথ। এ পবিত্র দিনটি থেকেই আমাদেরকে গ্রহণ করতে হবে; বিজয় অর্জন বড় কথা নয়, তার সুফলকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই বড় কথা।
‘স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন’- এ আপ্তবাক্যটিকে আমাদের ভুলে গেলে বিজয় দিবসের তাৎপর্য অর্থহীন হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন
দর্পণ বাংলা বুক ক্লাবের আয়োজনে আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ রহমত আলী।পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ও মোনাজাত করেন মাওলানা আব্দুছ কুদ্দুছ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেনারেল সেক্রেটারি সলিসিটর মোহাম্মদ ইয়াওর উদ্দিন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও টিভির পরিচালক মিছবাহ জামাল, সংগঠনের ট্রেজারার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মিসবাহ আহমদ, চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার রেজাউল করিম মৃধা, প্রভাষক আব্দুল হাই, বর্ণবাদ আন্দোলনের নেতা মো. আব্দুল মুকিত, কামালী শেরওয়ান শাহ, কবিতা আবৃত্তি করেন কবি নাট্যকার মুজিবুল হক মনি, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের সভাপতি মো. আব্দুল মুকিত, ক্যাম্পেইন কমিটির সদস্য সচিব এম এ রব, ব্যারিস্টার কামরুল হাসান, মো. তৌকির শাহ, মো. মনাফ মিয়া, মো. ওমর খান, ছাত্র প্রতিনিধি নাফিস ফুয়াদ নিলয়, আরমান হোসাইন সৌরভ, মো. ইয়ামিন হোসেন, হুমায়ূন রশিদ প্রমুখ।
এআইএস