যথাযথ মর্যাদায় তুরস্কে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪’ এবং ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪’ পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং দেশ, জাতি ও প্রবাসীদের মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকার কথা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন এবং দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা অধিকতর বৃদ্ধির লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন।

রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক বক্তব্যের শুরুতে এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার; বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার’-এর ওপর আলোকপাত করেন এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অভিবাসী কর্মী এবং তাদের পরিবারের ত‌্যাগ ও অনন্য অবদানের কথা উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, প্রবাসী কর্মীদের রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। দেশ গড়ার কারিগর প্রবাসীরা বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা তুরস্কে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির লক্ষ্যে তুরস্কের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর স্বাধীনতা দিবসের রিসিপশন অনুষ্ঠানে তুরস্কের শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়কমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন এবং তার সঙ্গে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি কর্মসংস্থানের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। তিনি প্রবাসীদের অধিকার, সুরক্ষা, কল্যাণ ও দ্রুততর সেবা নিশ্চিতকরণ এবং অভিবাসন ব্যবস্থাপনা আরও সুসমন্বিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত বিজয়ের মাসে জাতীয় বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবসের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য তুরস্কসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের আগামী ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৬টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এসএসএইচ