সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ সোমবার। এ উপলক্ষ্যে আমিরাতের সাতটি শহরকে অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে। 

১৯৭১ সালের (২ ডিসেম্বর) এ দিনে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর উত্তরে পারস্য উপসাগর, দক্ষিণ ও পশ্চিমে সৌদি আরব, এবং পূর্বে ওমান ও ওমান উপসাগর।

সংযুক্ত আরব আমিরাত মরুময় দেশ। স্বাধীনতা পরবর্তীতে মরহুম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো ও মানব সম্পদ উন্নয়নে দেশটির অবস্থান অনেক উপরে চলে আসে।

১৯৫০-এর দশকে পেট্রোলিয়ম আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত মূলত ব্রিটিশ সরকারের অধীন কতগুলি অনুন্নত এলাকার সমষ্টি ছিল। খনিজ তেল শিল্পের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর দ্রুত উন্নতি ও আধুনিকায়ন ঘটে, ফলে ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে আমিরাতগুলি ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে আসতে সক্ষম হয়। দেশের খনিজ তেলের বেশির ভাগ আবুধাবিতে পাওয়া যায়, ফলে এটি সাতটি আমিরাতের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী। তেল শিল্পের কারণে এখানকার অর্থনীতি স্থিতিশীল এবং জীবনযাত্রার মান বিশ্বের সর্বোচ্চগুলোর একটি।

এ উপলক্ষ্যে আমিরাতের সব জায়গায় গাড়ি পার্কিং ফ্রি, মোবাইল ডাটা ফ্রি, রাস আল খাইমাসহ অনেক প্রদেশে ট্র্যাফিক জরিমানা ৫০% ছাড়ের ঘোষণা, আবুধাবি ২২৬৯, দুবাই ১১৬৯, আজমান ৩০৪, ফুজাইরাহ ১১৮, শারজাহ ৬৮৩, রাস আল-খাইমাহ ১০৫৩ এবং উম্ম আল-কাইওয়াইনের শাসক বহু সংখ্যক কয়েদিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।

আমিরাতে রয়েছে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন ও গগণচুম্বী ভবন। স্বাধীনতার পর খুব কম সময়ে আমিরাত বিশ্বের অন্যতম সুন্দর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই মরুভূমির বুকে বড় বড় দালান আর অট্টালিকায় স্বপ্নের রাজ্য হিসেবে গড়ে উঠে আমিরাত। বর্তমানে বিশ্বের প্রথম দশটি ধনী দেশের একটি সংযুক্ত আরব আমিরাত।

আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, ফুজাইরাহ, রাস আল খাইমাহ, উম্ম আল কোয়াইন-সহ আমিরাতের প্রধান প্রধান সড়কসহ শহরের সড়কগুলো জাতীয় পতাকার পাশাপাশি আলোকিত ফিফটি-থ্রি লিখা শোভা বাড়াচ্ছে আজ।

মোটর র‍্যালি, বিমান মহড়া, ড্যান্সিং ঝরনা, আলোকসজ্জা, আতশবাজি, উঁচু ভবনে রং বেরঙের সাজ আর আলোর ঝলকানি। আমিরাত জুড়ে সাজানো হয়েছে নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন আর আলোর ঝলকানিতে দালানগুলি অপূর্ব লাগছে। স্কুল কলেজ, অফিস আদালত, সুপার ও হাইপার মার্কেট সেজেছে নানা সাজে।

এছাড়াও বড় বড় শপিং মলগুলোতে দিবসটি উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষণীয়। 

এদিকে ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে স্থানীয় ও আমিরাতে অবস্থানরত সকল অভিবাসীদের অভিনন্দন এ উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

এ বছর সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের জন্য চার দিন ও শারজায় পাঁচ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এমএসএ