মালয়েশিয়ায় আউটসোর্সিং কোম্পানি এক্সপার্ট সার্ভিস কুয়ালালামপুর (ইএসকেএল)-এ পাসপোর্ট আবেদন জমা দিতে গিয়ে নিরাপত্তা প্রহরীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন প্রবাসীরা।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে এবং তা বাংলাদেশ হাইকমিশনের নজরে এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে, মারধরের ঘটনার পর সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করতে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমআরপি পাসপোর্টের প্রিন্টিং সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় ই-পাসপোর্ট সেবা নিতে প্রতিদিন হাজার হাজার সেবাপ্রত্যাশী দূতাবাসের নিয়োগ করা বেসরকারি কোম্পানি ইএসকেএল অফিসে ভিড় করছেন। ধারণক্ষমতার বাইরে সেবা প্রত্যাশীর উপস্থিতির কারণে কনস্যুলার সেবা প্রদানসহ অন্য স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। কয়েকজন প্রবাসী অভিযোগ করেছেন, তারা জহরবারু, পেনাং প্রদেশ থেকে এসে ৪/৫ দিন ঘুরেও পাসপোর্ট আবেদন জমা দিতে পারছেন না।

বুধবার সকালে সরেজমিনে ইএসকেএলের সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক পাসপোর্ট সেবা প্রত্যাশী বাইরে অপেক্ষা করছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছবি তুলতে চাইলে এক নিরাপত্তাকর্মী তেড়ে আসেন। ছবি ও ভিডিও নেওয়ায় বারবার বাধা দিতে থাকেন।

মঙ্গলবারও সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া বাংলাদেশি এক সাংবাদিককে বাধা দেওয়ার ও লাঞ্ছিত করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে মাইটিভির মালয়েশিয়া প্রতিনিধি আশরাফুল মামুন বলেন, প্রবাসীদের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখে সিকিউরিটি গার্ড বাধা দেন এবং ভিডিও না করতে হুমকি দেন।

সংবাদ সংগ্রহে নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা দেওয়ার বিষয়ে মোবাইলে জানতে চাইলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএলের পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং) আরমান পারভেজ মুরাদ ‘এই পরিস্থিতি আমার কিছুই করার নেই’ বলে কল কেটে দেন।

এসএসএইচ