অনেকেই ভেবেছিলেন যুক্তরাজ্যে বর্ণবাদের দিন শেষ। কিন্তু আসলে তা নয়, মাঝে মাঝেই বর্ণবাদী হামলা ও ন্যক্কারজনক ঘটনা, দুর্ঘটনা ঘটছে। এর প্রতিবাদে সরকারিভাবে শিগগিরই জনস্বার্থে শক্তিশালী আইনি, সামাজিক, রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সমাবেশ এবং বিক্ষোভ করেছেন বর্ণবাদবিরোধী সাধারণ শান্তিকামী জনগণ।

এরকম একটি যুক্তরাজ্যের পিকাডিলিতে বর্ণবাদবিরোধী এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ বিক্ষোভ পিকাডিলি থেকে শুরু করে ট্রাফালগার স্কোয়ার হয়ে মিছিল করে ‘স্মেশ ডি ফার রাইট’ লেখা ব্যানার নিয়ে হোয়াইট হলে গিয়ে শেষ হয়।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’ স্লোগানে টমি রবিনসন এবং ইংলিশ ডিফেন্স লীগের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। এতে হাজার হাজার মানুষ যোগদান করেন।

জেরেমি করবিন, ডায়ান অ্যাবট ও ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকসহ আরও অনেক বর্ণবাদবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট বিক্ষোভে বক্তব্য দেন।

ব্রিটেন জুলাই মাসের শেষের দিকে সাউথপোর্টে একটি ওয়ার্কশপে তিন তরুণীকে হত্যা ঘটনা ঘটে। যার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের শহরগুলোতে দাঙ্গা দেখা দিয়েছিল সন্দেহভাজন খুনিকে একজন মুসলিম অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করার পর।

দক্ষিণপন্থিরাও শনিবার মিছিল করেন, তারা নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে বর্ণনা করেন। বলেন যে ব্রিটেন অভিবাসী ও ইসলামিকীকরণের হুমকির মধ্যে রয়েছে।

বহু বাঙালিও বর্ণবাদবিরোধী মিছিলে যোগ দেন। পূর্ব লন্ডন থেকে ইউনাইটেডের ব্যানারে বর্ণবাদ বিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট নূরউদ্দিন আহমেদ, রাজনউদ্দিন জালাল, আলা মিয়া আজাদ, সৈয়দ গুলাব আলী, জাভেদ আখতার, আনসার আহমেদ উল্লাহ, সাবেক কাউন্সিলর শহীদ আলী, স্মৃতি আজাদ, আব্দুল মুকিত, মায়া চৌধুরী, আহমেদ ফকর কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ডেমো ও মিছিলে।

এসএসএইচ