ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মতো জার্মানিতেও শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব। বার্লিনের ফ্রোনাউয়ে সবচেয়ে পুরোনো বৌদ্ধবিহার ডাস বুড্ডিস্টটিজে হাউজে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রিয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান।

এ উপলক্ষ্যে সোমবার (২১ অক্টোবর) ধর্মীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় দিনব্যাপী উৎসব। এর মাধ্যমেই সূচনা হয় গোটা জার্মানির প্রতিটি বিহারেই বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চীবর দান অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী সমবেত প্রার্থনা, ধর্ম দেশনা, আলোচনা সভা, কঠিন চীবর উৎসর্গ ও ভাবনা অনুশীলনের মাধ্যমে দিনটিকে উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। কঠিন চীবর দানোৎসবে বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা উপস্থিত ছিলেন। জগতের কল্যাণে দিয়েছেন মৈত্রীময় শুভকামনা।

বিকেলে ধর্ম সভায় বক্তারা বলেন, ভিক্ষুসংঘের তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকেই প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে বছরে একবার চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ উপাসক ও উপাসিকারা ভিক্ষুসংঘকে চীবর দান করেন। ভিক্ষুসংঘও তাদের বিনয়-বিধানের সব নিয়ম অক্ষুণ্ন রেখে পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে এ চীবর গ্রহণ ও পরিধান করেন। কঠিন চীবর দানের অনন্ত গুণের কথা স্মরণে রেখে প্রত্যেক বৌদ্ধ জীবনে অন্তত একবার হলেও চীবর দান করে থাকেন।

বিকেলে বাংলাদেশ ও বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনায় অংশ নেন দীপন বড়ুয়া, রাসেল বড়ুয়া, সৈকত বড়ুয়া, দীপ্ত বড়ুয়া, রিমন বড়ুয়া, সুস্মিতা বড়ুয়া, যিশু বড়ুয়া, টিনা চাকমা, অর্ণিষা বড়ুয়া, অনি, অর্ণব, অদিতসহ স্থানীয় জার্মানসহ বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধরা।

মাসব্যাপী এই কঠিন চীবর দান দেশটির কোলন, হামবুর্গ,  ডর্টমুন্ড, মিউনিখ, ফ্রাঙ্কফুর্টসহ নানা শহরের বিহারগুলোতে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।

এসএসএইচ