লন্ডনের ইউকে পার্লামেন্ট স্কয়ারে বিক্ষোভ সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীবিরোধী সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উপস্থিত সমবেতরা।

জুম্ম পিপলস নেটওয়ার্ক ইউকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল এবং ফ্রেন্ডস অফ সিএইচটির সহযোগিতায় গেল শনিবার লন্ডনের ইউকে পার্লামেন্ট স্কয়ারে বাঙালি বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা আদিবাসী জুম্ম জনগণের ওপর সাম্প্রতিক সহিংস সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আয়োজন করে।

বিক্ষোভে বক্তারা ১ অক্টোবর খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ভয়াবহ প্রভাবের বিবরণ দেন, যা ১৮, ১৯ এবং ২০ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটিতে পূর্বে সহিংস হামলার পর শুরু হয়েছিল। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন উজ্জয়িনী রায়, জেরেমি অ্যালেন, ওমবাশি গ্রেচ ক্যাটো, রুমানা হাশিম ও নোয়েল হিউম।

জুম্ম পিপলস নেটওয়ার্ক ইউকে থেকে উজ্জয়িনী রায় সাম্প্রতিক বর্বর হামলার নিন্দা করেন এবং আদিবাসী জুম্ম সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে সরকারের ব্যর্থতার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর জেরেমি অ্যালেন বান্দরবানে বসবাস ও কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে জনতার সহিংসতা বন্ধ করতে এবং এলাকায় সহিংসতার আরও বৃদ্ধি রোধে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে’।

ফ্রেন্ডস অব পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ওম্বাশি গ্রেচ ক্যাটো বলেন, চলমান সংঘাতে জনজীবনে হুমকির কারণে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এই তিন পার্বত্য জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ আদিবাসী জুম্ম জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব বাতিল করা হয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানী ড. রুমানা হাসেম উল্লেখ করেন, তার গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে যে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিকীকরণ এবং আন্তঃজাতিগত সংঘাতের কারণে লিঙ্গ সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিক্ষোভ শেষে উজ্জয়িনী রায়, জেরেমি অ্যালেন, ধর্মপ্রিয়া শ্রমন, ওমবাশি গ্রেচ ক্যাটো এবং ভ্যালেন্টাইন হার্ডিং ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

এসএসএইচ