বাহরাইনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ৯টায় রাজধানী মানামায় অস্থায়ী মণ্ডপে এ পূজার আয়োজন করা হয়।

বাহরাইনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দুদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট শাখা সপ্তমবারের মতো এ পূজার আয়োজন করে। পূজা আয়োজনের জন্য সংগঠনটিকে সহায়তা করে বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাসসহ স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠনগুলো।

পূজার আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাহরাইন শাখার সভাপতি অনুকূল দেবনাথ, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুকুমার যীশু হিন্দুরত্ন, বাংলাদেশ দূতাবাসের হিসাবরক্ষক সঞ্জয় পন্ডিত, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ দেব, রুপম পাল, ছোটন দেবনাথ, ঝন্টু শীল, প্রদীপ ভট্টাচার্য্যসহ বাহরাইনে হিন্দু মহাজোটের সব শাখা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মী ধন-সম্পদের দেবী হিসেবে পূজিত হন। ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে এ দিন লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন।

বাঙালির বিশ্বাসে লক্ষ্মী দেবী দ্বিভূজা ও তার বাহন পেঁচা এবং হাতে থাকে শস্যের ভাণ্ডার। তবে বাংলার বাইরে লক্ষ্মীর চতুর্ভূজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়। প্রায় প্রতিটি বাঙালি হিন্দুর ঘরে লক্ষ্মীপূজা করা হয়। এ উপলক্ষ্যে হিন্দু নারীরা উপবাস ব্রত পালন করেন।

মণ্ডপে প্রদীপ প্রজ্বলন শেষে প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপূজার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

এসএসএইচ