তুরস্কের আংকারায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দিবসের শুরুতে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে সম্প্রতি ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত শিশুসহ বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধরত বিভিন্ন এলাকার শিশুদের স্মরণে  এক মিনিটের নীরবতা পালন করেন।

পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শোনান। এরপর রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা পর্বে বিশ্ব শিশু দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান। তিনি একটি সুখী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে শিশুদের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শিশুর প্রতি বঞ্চনা, শিশুশ্রম, অপুষ্টি ও বাল্যবিবাহসহ অন্যান্য সমস্যা, যা শিশুর সঠিক বিকাশের অন্তরায় সেসব চিহ্নিত করে সমাধান করতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিশুদের সুন্দর বিকাশের জন্য গুরুত্ব প্রদান করা আমাদের সবার দায়িত্ব। শিশুদের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে যাতে তাদের মধ্যে সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশে মেধা ও মননের বিকাশ ঘটে। শিশুরা স্নেহ, মমতা ও মুক্তচিন্তার চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠলে আগামী দিনের বাংলাদেশ গঠনে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। ‘বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ‌্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।

শেষে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও দিবসটি উপলক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদত বরণকারী শিশুসহ সব শহীদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এসএসএইচ