ইতালিতে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ‘দূর থেকে দেখা একটি অপ্রত্যাশিত বিপ্লব’ শিরোনামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেপ্টেম্বর (২৭ শুক্রবার) ইতালিয়ান অর্গানাইজেশন আরছি ন্যাশনালের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরছি ও আ এস জি আই (অ্যাসোসিয়েশন ফর জুরিডিক্যাল স্টাডিস অন ইমিগ্রেশন) এবং লেত্তেরা২২ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও একটি ডিক্রি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ আরও চারটি দেশকে লিস্ট এ সেইফ কান্ট্রি অব অরিজিন নিবন্ধিত করা হয়েছে। ডিক্রিতে এসব দেশ থেকে আগত আশ্রয় প্রার্থীদের ব্যাপারে কিছু বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরছি রোমার ইমিগ্রেশন রেসপন্সিবল ও আরছি ইতালির ডিরেক্টর পাপিয়া আক্তার। আ এস জি আইর ইমিগ্রেশন আইনজীবী ও শিক্ষক সালভাতোরে ফাকিলের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য দেন ইতালির বলোনিয়া ট্রাইব্যুনালের বিচারক মার্কো গাত্তোসে, মিলান থেকে ইমিগ্রেশন আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুসে বনজানো, ছাপিয়েনচ্ছা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও লেখিকা অধ্যাপিকা নিমান সুবান, ইউনিভার্সিটি অব এক্সেসের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক বিভাগের শিক্ষক আদনান পাভেল ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিক জুলিয়ানো বাতিস্তল।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসী যারা ইতালিতে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন তাদের আইনগত অধিকারের ব্যাপারে এ আলোচনায় স্থান পায়। ইতালি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ এর রিপোর্ট অনুসারে ইতালিতে নৌকা ও জাহাজ যোগে আগত শরণার্থীদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের আশ্রয় প্রার্থী সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসীরা কীভাবে এখানে আইনগত সুবিধা পেতে পারেন তাদের ব্যাপারে আলোচকরা আলোচনা করেন ও বিভিন্ন আইনগত পরামর্শ দেন।

যদিও ইতালিতে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিদের, তারপরও বাংলাদেশিদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে এখানে খুব বেশি আলোচনা হয় না। অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিতি ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনলাইনে প্রায় ১৫০ জন বিভিন্ন পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা ইতালিতে বাংলাদেশ থেকে আগত আশ্রয়প্রার্থীদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা ও কীভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায় তার বিশদ বিশ্লেষণ করেন।

সভাপতি পাপিয়া আক্তার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং যার যার অবস্থান থেকে বাংলাদেশ থেকে আগত আশ্রয়প্রার্থীদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। পাশাপাশি অভিবাসীরা যাতে আইনগতভাবে ডকুমেন্টস পেয়ে কাজ করে স্থানীয়ভাবে ইতালিতে ও বাংলাদেশে অবদান রাখতে পারেন সেই ব্যাপারে ইতালি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এসএসএইচ