জার্মানিতে বসবাসরত স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মিশ্রিত লোক সংগীত।

সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে স্থানীয় একটি মিলনায়তনে বিপুল পরিমাণ প্রবাসীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীতের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাত করায় হাজারো কণ্ঠে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে প্রতিবাদ জানানো হয়।

এতে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে জাতীয় পতাকা আর জাতীয় সংগীত আমাদের সাংবিধানিক আমানত। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা মানব না। ৫ আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশে যে সন্ত্রাসবাদ-নৈরাজ্যবাদ চলছে তা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে একটি অসভ্য-জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছে। এমনকি জার্মানিসহ অনেক রাষ্ট্র বাংলাদেশ ভ্রমণে তাদের নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা।

তারা বলেন, ক্ষমতার পালা বদলের মাত্র কয়েকদিনের মাথায় দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। দেশ ও জনগণের নিরাপত্তায় বর্তমান কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেও দাবি করেন প্রবাসীরা।

দেশের এই কঠিন মুহূর্তে স্বাধীনতার স্বপক্ষের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলেও সভায় উপস্থিত সবাই একমত পোষণ করেন।

হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত, লোকজ সংগীত, প্রবাসীদের আপ্যায়নের এ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন হায়দার মণি, কামরুল আহসান সেলিম, হাফিজুর রহমান আলম, জাহিদুল ইসলাম পুলক, হাকিম টিটু, নজরুল ইসলাম খালেদ, আব্বাস আলি চৌধুরী, শামসুল করিম পল, নোমান হামিদ, জালাল আবেদিন, রেখা সেলিম, তাপসি রায়, লিজা নুরুদ্দিন, নাসিরুদ্দিন, জাহাংগীর হোসেন, জিল্লুর রহমান, আতিকুল হক সবুজ, কামাল ভূইয়া, মো. জালাল, কাজী আসিফ হোসেন দিপ, দেলোয়ার হোসেন জাহিদ বিপ্লব, আমানুল্লাহ ইসলাম, কায়সারুল আলম, ফিরোজ আহমেদ, আলি হোসেন, মহসিন, সোহেল, ইসমাঈল নেসার, শাহজাহান খান, বোরহান খান, অশ্রুসহ আরও অনেক জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশি।

এসএসএইচ