লন্ডনে চট্টগ্রাম সমিতি ইউকের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী চাটগাঁয়ে মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর দুপুর ১টায় উইলোস ব্যাঙ্কুয়েটিং হলে (ফরেস্ট রোড লন্ডন আইজি৬ ৩এসল) এ মেজবান অনুষ্ঠিত হবে। মেজবানে ৫ হাজার মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। এতে সবাই প্রবেশাধিকার পাবেন।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বাংলাদেশের গরিব ও অসহায় মানুষর সাহায্য করতে চ্যারেটি কালেকশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেজবানে চট্টগ্রামবাসীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সমিতি ইউকের চেয়ারপারসন নাজিম উদ্দিন, প্রাক্তন চেয়ারপারসন আলমগীর খাঁন, ভাইস চেয়ারপারসন সেলিম হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান ও ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে ২৯ বছর ধরে লন্ডনে চট্টগ্রামবাসীকে নিয়েই বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে এ চাটগাঁয়ে মেজবানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সমিতির চেয়ারপারসন নাজিম উদ্দিন।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান আগামী ৬ অক্টোবর দুপুর ১টায় উইলোস ব্যাঙ্কুয়েটিং হলে (ফরেস্ট রোড লন্ডন আইজি৬ ৩এসল) অনুষ্ঠিত হবে। চাটগাঁয়ে মেজবানে ৫ হাজার মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। চট্টগ্রাম থেকে আনা হবে বিশেষ মেজবানী মসলা আর জবাই করা হবে চারটি গরু ও দুটি ভেড়া। এই মেজবান হবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় মেজবান। যুক্তরাজ্য ছাড়াও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ থেকেও এই মেজবানে মেহমান আসবেন। ঐতিহ্যবাহী চাটগাঁয়ে মেজবানে খাবারের তালিকায় রয়েছে– সুস্বাদু মেজবানী গরুর মাংস, ডাল, নলা ও সাদা ভাত। পাশাপাশি চা, জিলাপী ও পান সুপারির ব্যবস্থা থাকবে। মেজবানে সবার জন্য এন্ট্রি সম্পূর্ণ ফ্রি।

মেজবানে বাংলাদেশের গরিব ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে চ্যারেটি কালেকশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগ্রহীরা যেকেউ এই মানবিক কাজে সহায়তা করতে পারবেন। এ সহায়তা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে দায়িত্ব পালন করবে।

তাছাড়া আনন্দ আড্ডার পাশাপাশি শিশুদের জন্য বাউন্সি কেসলের ব্যবস্থা থাকবে। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই চাটগাঁয়ে মেজবানে চট্টগ্রামবাসীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষের অংশগ্রহণ প্রবাসে একে অপরের প্রতি পারস্পরিক সামাজিক বন্ধন, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তৈরিতে জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

এসএসএইচ