বিলেতে বইমেলার আয়োজন করা, এটি বিশাল চিন্তাচেতনা, অর্থ, পরিশ্রম ও মননশীলতার ব্যাপার। চাইলেই কেউ করতে পারবে না। তবে সাহিত্য সংস্কৃতিমনা প্রবাসী ঐক্যতার মাধ্যমে একটি সফল বইমেলা উপহার দেওয়া সম্ভব। বলছিলেন লন্ডন বইমেলায় আগত সাহিত্য সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক এসকেএম আশরাফুল হুদা।

তিনি বলেন, লন্ডনের এবারের বইমেলায় কবি প্রকাশনী থেকে ড. শিহাব শাহরিয়ারের কবিতা সমগ্র কিনলাম, এটি নিজের জন্য। আরও বই খুঁজছি। আমার প্রিয় কবি জসীম উদ্‌দীনের রচনা সমগ্র খুঁজছিলাম, তবে পাইনি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে দ্বাদশ বাংলাদেশ বইমেলা ও সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়। পূর্ব লন্ডনের দ্য আর্ট প্যাভিলিয়নে দুই দিনব্যাপী এই বই মেলা ও সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব হয়।

এতে চলে একক ও সম্মিলিত সংগীতানুষ্ঠান, কবিদের কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি। ঢাকা ও লন্ডন থেকে এ বইমেলায় কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা স্টল দিয়েছেন।

শনিবার বইমেলার একপর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য (সাহিত্য) পদক ২০২৪ পান কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠক ফারুক আহমেদ রনি। তাকে নগদ অর্থ ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও  টাওয়ার হ্যামলেটস রারার স্পিকার ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জুবায়ের, বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা হিমাংশু গোস্বামী, সংগঠনের সভাপতি কবি ও লেখক ময়নূর রহমান বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক কবি কে এম আব্দুল্লাহ ।

রোববার বইমেলা ঘুরে দেখা গেছে সমাপনী সুর। এই বইমেলা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে অনেকের। সাহিত্যকর্মীদের কেউ কেউ লন্ডনের বইমেলাকে বর্জন করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ইকবাল বাল্মীকি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্য বইমেলার নেতৃত্বে আছেন সাবেক স্বৈরাচার ও গণহত্যাকারী সরকারের সমর্থক ও দোসররা। তাই বর্জন বর্জন, স্বৈরাচারের গর্জন। ( লাল মজিদ)।’

বইমেলায় সমাপনী দিনে বিকেলে গবেষক ও ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আনসার আহমদ উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বইমেলায় এসে ভালো লাগছে, শনিবারও এসেছিলাম, আজও ঘুরে ফিরে সৃজনশীল বইগুলো দেখছি। বিলেতে- লন্ডনে এরকম বইমেলা সৃজনী মনের খোরাক জোগায়, আনন্দ দেয়। আমি আয়োজকদের উদ্দেশ্যে বলব আগামী বছর আরও ঐক্যতার মাধ্যমে মিলেমিশে করলে সুন্দর দেখাবে এবং বইমেলা আরও জমজমাট হবে।

এসএসএইচ