‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে তহবিল গঠনের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে কানাডা টরন্টোর মুক্তবুদ্ধি চর্চা সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ। ড্যানফোর্থের বাংলাদেশ সেন্টারে বানভাসি মানুষের জন্য সাড়া দিয়ে নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেশপ্রেম উজ্জীবিত করে।

সাংস্কৃতিক কর্মী আরিয়ান হকের সঞ্চালনায় দেশের গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্যের শুরুতে সমন্বয়ক হিমাদ্রী রায় কমিউনিটির প্রিয় মুখ সমাজসেবী ব্যারিস্টার রিজওয়ান রহমানের আশু রোগমুক্তি কামানায় যার যার বিশ্বাস থেকে প্রার্থনার আহ্বান জানান। হিমাদ্রী রায় উপস্থিত সকলের মানবিক সাড়ায় অভিভূত হয়ে স্বাগত জানান। এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চা সাংস্কৃতিক কর্মীদের অবস্থান ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন।

সাংস্কৃতিক সংগঠক ম্যাক আজাদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজ বিনির্মাণের আশা ব্যক্ত করে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিদের এক হওয়ার আহ্বান জানান।

স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শুনান কবি তুষার গায়েন। সংক্ষিপ্ত কথায় বলেন, বাঙালি কেবল উৎসবে নয় বিপদে আপদেও এক হতে জানে এই রকম আয়োজন তার প্রমাণ। কথা সাহিত্যিক সালমা বাণী বলেন সংস্কারের নামে আমাদের সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি আজ হুমকির সম্মুখীন। 

সঙ্গীতে ছিলেন ফারহা নাযিয়া সামি, সোমা সাঈদ, রোমিও গোমেজ, রেহানা রহমান, অপূর্ব আজিম, দ্বৈপায়ন দাস, ফারহানা শান্তা। তবলায় সঙ্গদ করেন চিন্ময় কর। আবৃত্তি করেন দিলারা নাহার বাবু, নাজমা কাজী, মাহমুদুল ইসলাম সেলিম।

নৃত্যশিল্পী পারমিতা তিন্নি ও সুকন্যা নৃত্যাঙ্গনের নিঝুম রুপা ও নন্দিনী রুপা পাল নৃত্য পরিবেশন করেন। সামসুল হকের আমার পরিচয়ের বৃন্দ কবিতা আবৃত্তির মধ্যদিয়ে ম্যাক আজাদ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

হৃদয়ে বাংলাদেশ ব্যানার করেছেন শ্যামল বসাক। শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন গ্যারি খ্রিষ্টোফার রোজারিও। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জামিল বিন খলিল, এলিনা মিতা, কবি হোসনে আরা জেমি।

এমএ