ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সাংবাদিকদের সঙ্গে লন্ডন বরো অব বার্কিং অ্যান্ড ডাগেনহামের মেয়র মঈন কাদরীর এক প্রীতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেয়র অফিসে ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট আনসার আহমদ উল্লাহর নেতৃত্বে পূর্ব নির্ধারিত প্রীতি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিয়ার চৌধুরী, সহ সভাপতি সাজিদুর রহমান, সেক্রেটারি জুবায়ের আহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ সালেহ আহমেদ, ড. আজিজুল আম্বিয়া, ট্রেজারার এসকেএম আশরাফুল হুদা, অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেজারার মির্জা আবুল কাসেম ও ইভেন্ট অ্যান্ড অর্গানাইজিং সেক্রেটারি এ রহমান অলি প্রমুখ।

মেয়র মঈন কাদরী বাঙালি কমিউনিটির প্রতিনিধিত্বকারী সমাজের দর্পণ সাংবাদিকদের তথা ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রিয় মানুষদের পেয়ে আনন্দিত ও আপ্লুত হন। তিনি উঠে এসে চা, পানীয় ও খাবার পরিবেশন করেন উপস্থিত সবাইকে। পরে উপহার হিসেবে রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে ফুল, মগ, বই ও ম্যাগাজিন মেয়রের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রীতি এই বৈঠকে মেয়র প্রথমে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বার্কিং অ্যান্ড ডাগেনহামের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি ইত্যাদির কথা তুলে ধরেন।

শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, লন্ডন বরো অব বার্কিং অ্যান্ড ডাগেনহাম পূর্ব লন্ডনের একটি অন্যতম বরো। বরোটি ১৯৬৪ সালে লন্ডন বরো অফ বার্কিং হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল; ১৯৮০ সালে নাম পরিবর্তন করা হয়। এটি একটি আউটার লন্ডন বরো এবং দক্ষিণে টেমস গেটওয়ের লন্ডন রিভারসাইড বিভাগের মধ্যে রয়েছে; শহুরে পুনর্জন্মের জন্য জাতীয় অগ্রাধিকার হিসাবে মনোনীত একটি অঞ্চল। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এর জনসংখ্যা ছিল ১৮৭০০০ জন। বরোটির তিনটি প্রধান শহর হল বার্কিং, চ্যাডওয়েল হিথ এবং ডাগেনহাম। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হল বার্কিং এবং ডাগেনহাম লন্ডন বরো কাউন্সিল। ২০১২সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজনের জন্য লন্ডনের ছয়টি বরোর মধ্যে বার্কিং এবং ডাগেনহ্যাম অন্যতম ছিল। এই কাউন্সিলে তুলনামূলক বাঙালি কমিউনিটির প্রতিনিধি সন্তোষজনক। আমি এই কাউন্সিলে দ্বিতীয় বাঙালি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আপনাদের সেবা করে যাচ্ছি।

উপস্থিত ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির বিভিন্ন সদস্য, সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তরে মেয়র মঈন কাদরী বলেন, এই বরো মেয়র ও কাউন্সিলরদের দ্বারা জনগণের ও কমিউনিটির কল্যাণে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। যুবসমাজকে আলোর পথে পথ দেখাতে অনন্য ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, মাদকবিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই এলাকাকে শান্তিময় করা হচ্ছে। হাউজিংয়ের উন্নয়নে জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে চুরি, রাহাজানি, ছিনতাই, নাইফ ক্রাইম বন্ধে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এসএসএইচ